চিনি নাই নাহয় চেনালে না কেন,
এ কুয়াশা তব আঁখিজল।
বুঝি নাই বলে বোঝালে না কেন,
এ ভেজা পথ শত জনমের সাধনফল।।


হয়তো আমি আঁধারে পূর্ণ নিজের অগোচরে,
তুমি তো ওগো আলোয় ভরা চিরকালের তরে।
কি জানি কি দোষে রয়ে গেলে অচেনা-অজানা,
শূন্য দোলনা বুকে নিয়ে কাঁদে বকুলতল।।


শুনি নাই নাহয় শোনালে না কেন,
বারংবার সেই প্রনয়ভরা রাগিণীটি।
দেখি নাই বলে দেখালে না কেন,
তব নীলিমার ঐ রঙধনুটি।।


হয়তো আমি সাজাতে জানি না অর্ঘ্য যতন করে,
তুমি তো ওগো পূজারিণী সেই ভাবের মন্দিরে।
কি জানি কি ভেবে শেখালে না আরাধনার নিপুণতা,
এত জল তবু মেঘ বরিষণে কাঁপে তটিনীটি।।


জানা ছিলো না নাহয় জানালে না কেন,
প্রেমবাণী নিভৃতে রচিতে হয়।
জাগি নাই বলে জাগালে না কেন,
নিদ্ অবসানে হতো পরিচয়।।


হয়তো আমি রাঙাতে জানিনা আপন আঙিনাখানি,
তুমি তো চির নব রঙের জন্ম দাত্রী-ওগো অভিমানী।
কি জানি কি পাপে দিলে অভিশপ্ত জীবনের স্বাদ,
পরাজিত করে আমাকে তুমি ছিনিয়ে নিলে জয়।।