বাঁশরী তুলেছে রণন ঐ নূপুরে,
না বুঝিয়া গেলাম সখী ওপথধারে।
কেউ যদি দিত বলে,  মন হরে সে সুকৌশলে,
বাঁধিতাম এ চরণ দুটি যতন করে।।


যে রাগিণী খেলা করে বাঁশীর সুরে,
সহজেই নূপুর তাকে চিনিতে পারে।
এ যেন ঐ অগ্নিশিখা,  ঘৃত সাথে হলো দেখা,
জ্বলিতে জ্বলিতে শিখা নজর কাড়ে।।


"যত বলি 'ওহে নূপুর, ভুল করো তাল',
বলে আগে থামাও বাঁশী,
সে হয় যে বৃক্ষরাশি, আমি তারি ডাল'"।।


যে বাজায় সে দোষী সখী বাঁশী দোষী নয়,
গোপনে গোপনে করে ভাবের বিনিময়।
অনিত্য যে রসিক সুজন, ঈশারা দেই শুধুই সে'জন,
ভাব রসে মিশে তাঁরি গেলাম যে মরে।।