করজোড়ে দাঁড়িয়ে বিশ্বকর্মার দুহিতা ধূর্জটির সন্মুখে।
জিজ্ঞাসিলো মহাদেব 'হে সংজ্ঞা, কি হেতু আগমন তব'
সংজ্ঞা বলে- হে প্রভু, উদ্ধার করো ঘোর বিপদ থেকে।


আমি ও সূর্য একদা ঘোটকরুপে ভ্রমেছি আপন মনেতে।
মোদের দুই যমজ পুত্র জন্মেছিলো নাসত্য ও দস্র নামে,
অশ্বিনীকুমারদ্বয় বলে খ্যাত হয়েছে ওরা এই জগতে।


আমরা পুনরায় পেয়েছি নিজরুপ তোমার অজানা নয়।
আমার পুত্রদ্বয় এখনো অশ্বমুখে রয়েছে এই ধরণীতে,
হে প্রভু, কিভাবে নিজরুপ ফিরে পাবে আমার পুত্রদ্বয়।


শুনিয়া সংজ্ঞাবাণী নীলকণ্ঠ কহিলো শুন মোর কথা।
তুমি পার্বতীর কাছে গিয়ে সবিনয়ে বলো এ বারতা,
শুধাবে সে তোমায় অমৃতবাণী যাহা ঘুচাবে তব ব্যথা।


এবার সংজ্ঞা গিয়ে উপনীত হলো পার্বতীর সমীপে।
শুধালো মহামায়া এক অমৃততত্ব শুনে সংজ্ঞার কথা,
হে সংজ্ঞা, আশ্বিনের শেষে নিবে এক মুষ্টি চাউল মেপে।


রাঁধিবে সে চাউল তুমি শিব ভক্তি নিয়ে গৃহের ভেতরে।
কার্তিকের প্রথম দিবসে খাইবে তাহা আনন্দিত মনে,
যাহা চাইবে তাহাই পাবে-এ প্রতিশ্রুতি দিলাম তোমারে।


এ ব্রত সংজ্ঞাদেবী আপন করে নিলো নিজের কাছে।
মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে দুই পুত্র নিজরুপ ফিরে পাই,
সূর্য-সংজ্ঞা পূত্রদ্বয় জ্ঞানবলে স্বর্গের চিকিৎসক হয়েছে।