জন্ম দিয়েছিল একদা এক সময় নিজ পিতা-মাতা,
এরপরই বিরাট ইতিহাসে পরিপূর্ণ তার জীবনগাঁথা।
পালিত সেই ঘরে অল্প কয়েকদিন তাঁদের আদরে,
জীবনের বেশীরভাগ সময় অন্যের সাথে অন্যের ঘরে।


বলছি, স্ত্রী নামে অভিহিত চিরনব শক্তির জীবনালেখ্য,
অপূর্ব বন্ধনের প্রয়োজনেই তার উপর পরের আধিক্য।
স্বামীতে নিমগ্ন হয়ে সুখ-দুঃখের চির অংশীদার হলো,
জন্মানো ঘরে আশ্চার্যজনকভাবে সে নায়রী সাজিলো।


স্নেহ-মায়া-ভালোবাসায় ঘায়েল হলো তার অন্তরখানি,
সন্তান জন্ম থেকে মানুষ করা পূর্ণময় জীবনকাহিনী।
স্বামীর প্রতিটি বয়সে ছায়ার মত সঙ্গী সেই সহধর্মিণী,
পরিবারের যত ঝঞ্ঝাট মাথায় নিয়েছে জীবন্ত তরণী।


জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তার মর্যাদা স্বগর্বে প্রতিষ্ঠিত,
দুর্দান্ত ও মোহনীয় মুহুর্তের জন্ম দিতেই সে'জন সৃজিত।
সুখ-দুঃখ-আনন্দ-কষ্টে যার গুনগানে মুখরিত ত্রিভূবন,
সেই সহধর্মিণী কারো মা,কারো কন্যা,কারো হয় বোন।


প্রষ্ফুটিত পুষ্প যত্ন বিনে সুগন্ধ ছড়ায় না বিশ্বচরাচরে,
অভিমানের বিসর্জন মধুময় ক্ষণের জন্ম দিতে পারে।
চাইলেই ভোলা যায় না মহিমান্বিত গৌরবের ইতিহাস,
সহধর্মিণীর হাসি মাখা মুখে জীবন্ত হোক চারপাশ।