ছোট ছেলেটি স্কুলে যাবে আজ অদম্য এক উচ্ছ্বাস,
খেয়ে দেয়ে তৈরি সে আজ কখন আসবে স্কুলবাস,
ক্লাসরুমে সে খুবই মনোযোগী ব্লাকবোর্ডে তার দৃষ্টি
মনের মাঝে হাজারো স্বপ্নে প্রাসাদটি তার সৃষ্টি
পড়াশোনা করে শান্ত ছেলেটি বাবা-মার চোখে রত্ন ।
সব ফলাফলে খুব ভাল করে পায় সে আদর যত্ন।
স্কুল পেরিয়ে শহরের বড় কলেজেতে তার ভর্তি,
বাবা -মাকে দূরে ফেলে ও বন্ধুর নেই কমতি।
এতকিছুর মাঝেও রাতে মাকে খুবই মনে পড়ে,
সাহসী ছেলেটি ছোট নেই আজ তবু কেন জল করে।
বহুরাত তার টেবিলেই কার্টে, স্বপ্ন সে বড় হবে
পড়ালেখা শেষে মায়ের কাছে আবার ফিরে সে যাবে।
আজ সে ট্রেনের ছুটে চলা দেখে নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে,
স্টেশনের সেই ইটগুলো খোঁজে চোখের দৃষ্টি বাঁকিয়ে।
পড়াশোনা শেষ হয়ে এলো তার আর শুধু, কিছুদিন,
তারপরই যেন শেষ হয়ে যাবে সব ঋণ
বরাবরের মতই যে তাঁর শেষ ফলাফল ও ভালো,
এতদিনের এই স্বপ্ন প্রাসাদ সত্যি করার কাজ তার শুরু হলো।
তার বাবার আজ মুখে কালো ছায়া কপালে পড়েছে ভাজ,
ছেলেটি যে তার ঘোরে দ্বারে দ্বারে তবুও পায় না কাজ।
কত চাকরির পরীক্ষা দিল ভাইভাতে পড়ে বাদ,
পরীক্ষা নয় এসব যেন টাকা হজমের ফাঁদ।
ছেলেকে সে বড় করেছে বানিয়েছে ছোট বাড়ি,
সম্বল বলে বাড়িটুকু আছে নেই অত টাকাকড়ি।
ছেলেটির আজও, ভাইভা ছিল চাকরিটা তার হয়নি,
বেকার বলে মূর্খেও বলে কখনও সে নাকি পড়েনি।
তার চেনা নেই মন্ত্রী এমপি তার নেই কোনো কোটা,
তাই সে আজ রাস্তায় ঘোরে লোকে দেয় লাখো খোটা।