হৃদয়নারী !
আমার সকল সুখের শেষ হলে পর-
ভেঙে গেলে মনের এ ঘর,
তখন তুমি এসো।
আমার দিকে তাকিয়ে পলক
মুখ লুকিয়ে হেসো।


যখন থাকবেনা কেও পাশে আমার
স্মৃতিগুলো সব হবে অসার,
তখন তুমি এসে-
ইচ্ছে হলে বসতে পার আমার পাশটি ঘেষে।


যেদিন আধার রাতে, চলার পথে থেমে
পথ হারাব, অচিন গায়ে নেমে।
থাকবেনা’ক কোন সখা, হাতে আলোক বাতি
তখন তুমি আসতে পার,
আমার পথে চলতে পার-
হতে পার ইচ্ছে হলে, আমার সাথের সাথী।


যখন আমার ফুলমালাগুলো শুকিয়ে হবে কাঠ
পুড়ে চৌচির হয়ে যাবে মনের মাঠ-ঘাট,
কেউ রবেনা সান্ত্বনা আমার চোখের জলে,
সেদিন পারলে এসো তুমি-
একটু হেসে ভরিয়ে দিও আমার মরুভূমি।


যখন জীবনজোড়া ব্যথায় ভরা থাকবে প্রতিক্ষণ,
চলে যাবে যারা ছিল, সকল আপজন।
একলা আমি মরব ধুকে, কেউ নিবেনা খোজ
চাইলে তুমি আসতে পার তখন রোজ রোজ।


প্রিয়তমা! এসব আমার মনের কথা
হয়নি তোমায় বলা-
চাইনি আমার দুখে তুমি এসে, ভাগ করে নাও জ্বালা।


সুখগুলো মোর অল্প স্বল্প আনন্দও কম
জানি এতে তুমি হবেনা’ক তুষ্ট-
তাই আমার সুখে ভাস তুমি, বলিনি স্পষ্ট।


দুঃখ আমার জীবন জোড়া, ব্যথায় ভরা সব
ব্যর্থতা মোর চিত্ত জুড়ে নিত্য করে কলরব
তখন আমি অবচেতনে খুজি তোমায় ফিরে
যদি আস পথ ভুলে, আমার কুটির দ্বারে।
মনে মনে আশা তোমায়, বলতে পারিনা’ক
দুঃখগুলো ভাগ করে, আমায় বেধে রাখ।


তাই অল্প যা সুখ আনন্দ মোর-
সেইটুকু ভাগ করে
তোমাকে দেই আমার যত নৈবদ্যের সুরে।
কষ্টগুলো বলতে তোমায় পারিনা’ক বলে
একলা পুড়ি, একলা ভাসি বিরহের জলে।


মনের কোণে ক্ষীণ আশা, দুখের দিন এলে
তুমি তড়িৎ এসে তোমার নায়ে-
আমায় নেবে তুলে।


১১.০২.২০১১ ইং, ঢাকা।