মৃত্তিকার বুকে গুড়ি গুড়ি পায়ে প্রথম ছুটে চলা
ভয়ার্ত চিৎকারে মায়ের আচলে মুখ গুঁজে থাকা
বাবার ঘামে ভেজা মলিন ঠোঁটে চিবুকে স্নেহের চুম্বন।
আর হাতে হাত ধরে হেঁটে যাওয়া ফসলের মাঠ ফিরে এসো।


ফিরে এসো প্রথম সকাল
চোখ বুঝে কান্নার অনুচ্চারিত অভিমান
স্কুল ব্যাগ কাঁধে প্রথম স্কুলে যাওয়া
অসাধ্য সাধনের বিরামহীন পণ্ডশ্রম।


ফিরে এসো ক্লান্ত দুপুরে নদীর জলে দামাল সাঁতার।
বৈশাখের তুমুল ঝড়ে আম কুড়নোর দিন
মেলায় কেনা রঙিন বাঁশি, মাটির হরিণ ফিরে এসো।
ফিরে এসো চৈত্রের আকাশে প্রজাপতির ডানা মেলা রঙিন ঘুড়ি।
আর নিকোটিনহীন বিশুদ্ধ ফুসফুস।


হে আমার সুন্দর অতীত
একদিন যা কিছু ছিলো আমার আবরণ
যা কিছু আমি ফেলে এসেছি তোমার কাছে
যেখানে পাখির কলতানে জীবনের গন্ধ ছিলো
দূর আকাশের চাঁদ হাতে পাবার স্বপ্ন ছিলো
তটিনীর তীব্র স্রোতে ওপরে যাবার দুরন্তপনা ছিলো
আজ এই রুক্ষ মরুর বুকে তার সবি ফিরিয়ে দাও!


ফিরিয়ে দাও সেই শৈশব
সেই বাঁধনহীন জীবনের চাকা
আমি আর একটিবার ঘুড়ির নাটাই ধরতে চাই!
ফিরে চলো সময় জন্মের মতো শৈশবে ফিরে যাই!