ফসলের মাঠে ন্যায্যতা চাইতে গিয়ে
দেখেছি দূরের ওই তটিনীর কোল ঘেসে
পরে আছে বিচ্ছিন্ন হাত কি এক অজানা অভিমানে।


আজো বুকের চারপাশে ফুটে আছে স্বজনের শুভ্র হাড়
পবিত্র ভূমি ভিজে আছে টলটলে রক্তে,
প্রতি রাতে স্বপ্নের দামে কিনে নেই শোক
কিনে নেই দারিদ্রতা, ক্ষুধার্ত দেশ, নিরন্ন জনপদ।


অথচ একটি সুন্দর ইস্তেহার ছিল আমাদের স্বপ্ন
খতিয়ানে খতিয়ানে আকাশ ছোঁয়া প্রত্যাশা
একদিন পাল্টে দেবে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ।


বুলেটের বদলে গোলাপ হবে শাসনের হাতিয়ার
ফুলে ফুলে সাজানো থাকবে প্রতিটা অস্ত্রাগার
পারমাণবিক শক্তির বদলে প্রতিযোগিতা হবে বন্ধুত্বের
রাষ্ট্র যন্ত্রের প্রতিটা অঙ্গ হবে ন্যায্যতা, সমতা ভিত্তিক
                                    সুশাসনের হাতিয়ার।
নারীর স্নেহময় কোলের মতো নিরাপদ পথচলায়
জেলের প্রতিটা কক্ষ হবে মানবতার এক একটা মন্দির।


তুমি কথা রাখো নি
নির্লজ্জের মতো তুমি কথা রাখো নি।


স্মৃতি বিস্মৃতির সীমানা পেরিয়ে
আমার সামনে এগিয়ে যায় মিথ্যে বিজয় মিছিল
আমি পরে রই পেছনে
মিছিল থেকে অনেকটা দূরে, অনেকটা পেছনে
কুড়িয়ে তুমি নিস্পাপ প্রেম পদদলিত শহর থেকে।


জানি এ শিকল ভাঙার পথ দূর্গম দুর্দম
প্রতিটা পদক্ষেপে ধেয়ে আসে মৃত্যুর হাতছানি
তবুও স্বজনের লাশের পাশে পুষ্পের প্রণাম জানাই
রক্তের নিবিড় স্রোতে আজো ন্যায্য অধিকার চাই !