অনেকদিন হয় আকাশ দ্যাখি না
স্নিগ্ধ রজনী নিদ্রাহীন কাটে তবু আকাশ দ্যাখা হয় না
দ্যাখা হয় না ক্লান্ত দুপুর, নিশ্চুপ রাত, সোনালী ফাগুন।


অনেকদিন হয় তোমাকে দ্যাখি না।
হয়তো ভেবে নিয়েছো তোমাকে ভুলে গেছি
ব্যর্থতার গ্লানি চেপে নিঃশব্দে চলে গেছি।
এখন আর রাত জাগি না, কবিতা লিখি না
ব্যস্ততম জীবনে হয়ে গেছি অন্য কারও বর, অন্য কারও ঘর
অথবা প্রতীক্ষায় আছি অন্য কোনো প্রেমিকার
                                    অন্য কোনো প্রেম পত্রের।


আমি ধরেই নিলাম তোমাকে ভুলে গেছি
নিঃসঙ্ক চিত্তে ছেড়ে গেছি পৃথিবীর পথে।
কিন্তু, তুমি
একবার প্রশ্ন করেছো তোমাকে, তোমার একাকীত্বকে
এভাবে অভিনয় করে কতোটুকু ভুলেছো আমায়?
কতোটুকু আড়াল করেছো তোমার তোমাকে?


চাইলেই কি ভুলা যায়, ভুলে থাকা যায়?
কিচ্ছু তো থেকে যায় না থাকার শূন্যতায়।


তাই তো সমস্ত পৃথিবী যখন হাতের মুঠোয়, ঠিক তখনি
যোগাযোগের সবকটি মাধ্যমে নিষিদ্ধ করেছো আমায়
যেন কোনোদিন তোমার মুখোমুখি দাঁড়াতে না পারি
                                        বলতে না পারি, ভালোবাসি।


হয়তো পৃথিবীর ইস্তেহারে তোমার জন্যে আমি নেই
তবু বুকের ভেতর পুঞ্জীভূত প্রেম এখনো তোমাকে খোঁজে
কারাগারের অন্ধকার কনডেম সেলে শুধু তোমাকেই আঁকে।


চৈত্রের কোনো এক বর্ধিত দিনের শেষে যদি সময় হয় তোমার
এক জীবনের সব অভিমান ভুলে প্রেমিকা হয়ে নয়
                                                  অচেনা অতিথি হয়ে
অথবা মৃত্যু পরোয়ানা হাতে উল্লসিত জল্লাদ হয়ে, তুমি এসো!
তবুও আর একটি বার তুমি এসো
আমি শেষ হাসি হেসে তখনো বলবো, কেমন আছো?
তুমি এখন কেমন আছো?