হে রাষ্ট্রযন্ত্র , তুই ন্যায়ের মুখোশধারী ভিখারি,
তোর নীতিতে গরিবের কপালে শুধু দাহজ্বালা চিত।
তুই বানাস আইন, ন্যায়ের মোড়কে খালি ফাঁকা বুলি,
অথচ গরিবের জন্য তোর হাতেপায়ে শুধু শেকল, ডান্ডা-বেড়ি।
তুই ধনীর কর স্রোতে ভাসাস তোর বিচার-নীতির নৌকা,
আসামির গায়ে যদি থাকে রূপা-গাঁথা জামা, তবে বিচারের দরবারেও থেমে যায় তর্জনী।
আর গরিব?
একটা ক্ষুদ্র ভুলে তুই টেনে নামাস জাহান্নামের ঘরে,
তোর পুলিশ, তোর আইন ,তোর আদালত—
সব যেন বিষাক্ত তলোয়ার গরিবের শিরে!
তুই জানিস, তোর কোর্টের দরজা খোলা সোনার ছেলে-মেয়েদের জন্য,
তাদের পাসপোর্টে তুই লিখিস ‘বিশেষ’,
আর গরিবের হাতে সীলমোহর 'অপরাধী, অবাঞ্চিত, বেহেশ্তের বাইরে।
হে রাষ্ট্রযন্ত্র,তোর এই নাটকীয় মুখোশ খুলে ফেলবে একদিন জনতা,
তোর সোনালী চেয়ারের পায়া কাঁপাবে ফুটপাথের বাচ্চারা।
তুই ভেবেছিলি তুই চিরকাল রাজা, তোরই চলবে ভাষা?
একদিন তোদের বানানো আইনেই হবে তোদের সর্বনাশ।
হে রাষ্ট্রযন্ত্র , তোর নকল ন্যায়ের দিন শেষ হবে,
অসহায়ের হাহাকারই তোকে গিলে খাবে,