আমি চাইলেই চলে যেতে পারতাম,
বিগত দিনের স্মৃতি মনে,
আহ্নিক গতির বাহিরে,
যে গতিতে রাত হয়, দিন হয়,
বোবা স্বপ্নের চাদরে।
আমি চাইলেই রয়ে যেতে পারতাম ঘরের কোণে।
ধুলোজমা মলাট খুলে,
গভীর থেকে গভীর কোন শব্দে,
যে শব্দে ঘুম ভাঙ্গে, স্বপ্ন ভাঙ্গে,
মিথ্যা আলেখ্যের অবিকলে।
আমি চাইলেই হতে পারতাম অভিমানী কবি।
রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বুকে,
সভ্য সমাজের অন্দরমহলে,
যেখানে সত্য বিক্রি হয়, মৃত্যু হয়,
আঁতর মাখা সাদা কাফনে।
আমি চাইলেই হতে পারতাম উন্মাদ কোন ব্যাক্তি।
রাশান-স্কচ পেগ হাতে,
খিস্তি করতাম বিড়বিড়িয়ে,
যে খিস্তিতে আমাদের স্থান হত, প্রস্থান হত,
হাংরি জেনারেশানের শহরে।
কিন্তু কি অদ্ভুত ভাবে বেঁচে আছি আমি!
প্রচণ্ড বাস্তব একটা যন্ত্র হয়ে!
যে যন্ত্র আমায় লুকিয়ে রাখে যত্নে রাখা শার্টের ভাঁজে,
ভোঁতা পারফিউম, কাফলিঙ্ক, টাইয়ের নটে।
যে যন্ত্র আমায় বাধ্য করে শুশ্রূষাহীন হয়ে বাঁচতে,
আফটারশেভের গন্ধ লোমকূপের রন্ধ্রে নিয়ে।
যে যন্ত্রের চোখে চোখ রেখে আমি দেখি একটি সকাল,
গরিবরথের চাকা, অলি-গলি, বিকল ট্রাফিকলাইট,
সবই তোমার অগোচরে।