তোমার অশ্রু বিলাপে অপচয়ের জন্যে নয়,
জানি ,
ভেঙ্গে পড়া চলবে না,বয়স্ক পুরুষের চোখে অশ্রু মানায় না ,
জানি ,
হতে হবে কর্মে বীর, ধর্মে  ধীর আর সংকটে স্থির ,
জানি,
জানি পাথর আচ্ছাদনে অটল অবিচল হৃদয় যার,
সেই সঠিক পুরুষ ,  
প্রতিদিন পাহাড় খুদে কুড়োলে জঙ্গল চিঁরে,
কোদালে জমি খুঁড়ে ফসল ফলিয়ে
মাঠ থেকে গরু তাড়িয়ে ফিরে পরিবারের নালিশ অনুযোগ,
রাতের বিছানায় শরীর নিঙড়ানো পৌরুষের পরিক্ষায় বসা ,
তারপর পরিবার প্রধান সুলভ ইন্দ্রিয় সচেতন রেখে কিছু ক্ষণের অচেতনতা ,
এ সবি পুরুষের কাছে পৃথিবীর বহাল কৃত পরম দায়িত্ব, জানি ,
কিন্তু ক্লান্ত আমার চরন যখন এলোমেলো হয়ে আসে,
পেশী যখন প্রবিবাদ জানায়,
অনেক জমানো অশ্রু যখন চোখের কোল বেয়ে অজান্তে ঝরে পড়ে দু এক ফোঁটা,
ছেলেবেলার মুক্ত ঘুড়ীর মতো জীবন মনে পড়ে যায় বুকটা হাহা করে ওঠে,
চলার পথে যদি কোন বন্ধুর প্রিয় মুখ হঠাৎ উদয় হয় ,
তখন বড্ড ইচ্ছে হয় চলে যাই ওর সাথে কথা বলি অনন্ত কাল ,
কিন্তু উভয়ের সামাজিক পুরুষ জীবন ধারায় শান দেয়া বাক্তিত্ত যখন,
উভয়ের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় ,
তখন কয়েকটা শুষ্ক বাক্য বিনিময় শেষে আপন গন্তব্যে রওয়ানা হতে হয় তখন বুক ভেঙ্গে যায় । জীবন যুদ্ধে আর কত বিসর্জন দিলে পৌরুষের পরীক্ষায় পাশ হবে ! গলা ছেড়ে কাঁদব বলে নির্জনতা খুজি ,
পাইনা ,
কোথায় পাব হৃদয়ের বোঝা খালাস করার একান্ত পরিবেশ !
তাই চলতে হয় জন্মগত পুরুষ দেহ নিয়ে ,
চলতে হয় অন্নের সন্ধানে ,চলতে হয় প্রিয় নারী ,
প্রিয় মানুষ গুলোর আস্থা হয়ে ,
পাহারাদার কুকুরের মতো ,
নিরাপদ বাসস্থানের ছাউনির মতো ,
প্রতিদিন সহকর্মীর সাথে টিকে থাকার প্রতিযোগিতায়,
পুরুষ শাসন যদি হয় সমাজের বর্ণনা তবে ,
সেই সংকীর্ণতার পেছনে থাকবে অনেক ঘামের বিন্দুর গল্প সব,
থাকবে বলিদানের ইতিহাস ,
তবুও যদি করো ভালোবেসে কোন অন্যায় আব্দার খুশী মনে করব পালন ।  
NK/২০১৩-১১-২৭