কর্কশ সুরের বাঁশি বাজিয়ে তার অবস্থান জানান দেয় নৈশপ্রহরী-
আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করে তাকিয়ে দেখি তোমার ঘুমের পরিবর্তন,
শান্ত প্রঃশ্বাসের লয়ে তোমার বুকের উত্থান পত্তন,
বালিশে পড়ে থাকা এলোচুল, ফ্যানের বাতাসে কেউ কেউ ফেরারী।
স্বপ্নের মাঝে তোমার ঠোঁটে আলতো হাসি, সুখের আবেশ, আমাকে করে লক্ষীমন্ত,
কৌতুহলে ফেটে পড়ে আমার হৃদয়ের স্পন্দন,
জানালা গলে চুপটি করে এসে খেলে যায় দক্ষিণা বাতাস আর জ্যোত্স্নার শ্রাবণ,
রূপালি আলোর ছটায় তোমাকে মনে হয় কোন শান্ত সাধু কিংবা সন্ত,
অথবা এক দুষ্টুমি করে ক্লান্ত কোন শিশুর অবতার-
কান পেতে যেন শুনতে পাই তোমার হাসির প্রতিধ্বনি,
তোমার কাজের, চলার পথের, ব্যস্তদিনের হাজারো কাহিনি।
কিন্তু এখন তুমি ক্লান্ত, শান্ত- ঘুমে, আর আমি তোমার ঘুমের পাহারাদার।