কুয়াশায় সাদা চারিপাশ।
আমার মাফলারটাও সাদা ছিল।
তার মাঝে আমি আর রিমিপু বেরতাম।
পল্লবীদের শেফালি থেকে স্কুলের বকুলতলা।
সূর্য ওঠা পর্যন্ত এই ছিল আমাদের পৃথিবী।


এখনো প্রতিদিনই যেতে ইচ্ছে করে।
কি করব? তোমার যে ঠান্ডার ধাত।
এখন কি আর তোমায় ফেলে যেতে পারি?


মা বলতো পাখি হতে।
সন্ধ্যেবেলা ঠিক যেন ঘরে ফিরি।
মার কথা কবেই বা শুনেছি?
প্রতিদিন রাতে ফিরে সৃজনশীল গল্প বলতাম।
  
এত ভিতু কেন তুমি?
একটুখানি একা থাকতে পার না?
শিরিশতলার বেঞ্চগুলো এখনো নিশি ডাকে।
কিন্তু, আমি পাখি হয়ে যাই।


আমার সেই আমিটাকে আর খুঁজে পাই না।
বিবর্তিত এই আমি আসলে পরাধীন।
তোমার ইচ্ছা, তোমার সুবিধা
আমাকে চালিয়ে বেড়ায়।


ঘুম ভাঙতেই ডানদিকে পাশ ফিরি।
ভাগ্যিস তুমি একটু ঘুমকাতুরে,
তাইতো বিশুদ্ধ তোমার দিকে তাকিয়ে
দিনটা শুরু হয় আমার ।
কপালে এঁকে দিই আমার মনের কথা।
সে কথা ফুটে ওঠে তোমার তৃপ্ত ঠোঁটে, অতি ধীরে।
পরাধীনতার সুখে ভেসে যায় সেই আমি।


তোমার থেকে আর আমি স্বাধীনতা চাই না।
যদি কোনদিন তুমি আমায় স্বাধীন করে দাও,
নিশ্চিত জেন,
সে স্বাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য আমি বিদ্রোহ করব।