ওই লোকটায় হাসি বড্ড কুশ্রী,
অতি কদর্যময়;
আজও ওই হাসি
মনে পড়লে
ঘৃণায় মুখ বাঁকিয়ে ফেলি। জানি,
ওই হাসি সহস্রজনের কান্নার আর
বুকফাটা আর্তনাদের প্রতীক; ওই হাসি
কমলারাণীর বাকহীন মুখের কিংবা
ছেলেহারা জয়নাল চাচার জমে থাকা
কান্নার আওয়াজ।
আমার খুব ইচ্ছে ওই হাসিকে
মাটিতে মিশিয়ে দেই, চল্লিশ বছরের চাপা
ক্ষোভ আর ক্রোধানল ওই হাসিকে
ক্ষত-বিক্ষত করুক, যেমন তান্ডব
ওটা চালিয়েছিল একাত্তরে,
এত দিনেও ওই হাসি
আগের মতই স্বতঃস্ফুর্ত; নেই গ্লানি,
নেই পাপবোধ।
তবে ও হাসিতে আর বুকে
কাঁপন ধরে না, শুধু
হতাশা আর অপমান নিজেকে
দগ্ধ করে; ওই হাসি
পরাজয়েও বিজয়ী হয়ে হাসছে
প্রতিমূহুর্তে, প্রতিক্ষণে।
ও হাসিতে শুনি আর্তনাদ
খুঁজে পাই শকুনীর লালায়িত চোখ
আর দেখি,
স্বপ্ন! ওই হাসিটাকে মুছে দেওয়ার !