ঘর যাঁদের জন্য ঘর হয়ে ওঠেনি কোনোদিন, দেশ যাঁদের দেশ ছিলনা কখনোই। তাঁদের গল্প বলবো।

তবে তার আগে তোমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
কোনটা মূলত ঘর কিংবা দেশ? কি রং তাদের, জানো?

একটা ঘোলা মধ্যরাতের পেট গলে উবে যাচ্ছে ডিমের কুসুমের মতো বিরক্তিকর সকালেরা। একটা বিষণ্ণ জল্লাদ সন্ধ্যার বুকে ঝুপঝাপ ঝরছে রাত্রিগুলো।

২৪ ঘণ্টা পরপর এমন একই ঘটনা ঘটলে বয়স বাড়ে পৃথিবীর আর ক্ষয় হয় মানুষের মন আর ঘড়িসমূহ।

আমার কখনো কোনো ঘড়ি ছিলনা। কিংবা মনও।
তাই ক্ষয় রোগ আমার জন্য নয়। আমার কেবল মরিচা ধরে উজ্জ্বল হয়েছিলে তুমি, নির্বাসিত ক্যাফেইনসমগ্র।

অথচ ধারণা করা হয়, যাদের ঘর নেই তারাই বরং 'প্রকৃত ও সারস'। কেননা কখনো ভুল অবস্থানকে ঘর ভেবে ফিরে আসতে হয়নি। ভাঙতে হয়নি নিজের হৃদয় নিজেরই দশ আঙ্গুলে চৌচির, তুলে নিয়ে জলের দুহাত থেকে। দরজা নামক দেয়ালের সামনে পিঠ রেখে।

আসলে কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক? যেমন, সময় বদলালে রং পাল্টে কালো হয়, ঘুম আর ক্লান্তর শরীর।

এত বেশি ছড়াতে নেই কখনোই। তাহলে গোটাতে গেলে খুঁজে পাওয়া যায় না। অবশিষ্ট থাকে না আর কিছুই।

এত বেশি হাঁটতে নেই নিজের ভেতরে একমুখী নির্জন রাস্তায়, গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না যেমন, তেমন ফিরেও আসা যায় না আর কোনোদিন, কখনোই।

ঘর যাঁদের ঘর ছিলনা। দেশ যাঁদের দেশ হয়ে ওঠেনি। তাঁদের জন্য কখনও কোনো গল্প লেখা যায় না। তারা কেবল হেঁটেছিল। হৃদয়ের ভিতরের একমুখী, ক্রমশ।

নাইম আহমেদ

০৫ - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এইট ডেইজ অ্যা উইক, লাবণী পয়েন্ট, কক্সবাজার