আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি,
সময়ের বিভেদে গড়া তোমার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তুমির জন্য।
আমি তোমার প্রতিটি শ্বাসে নিমজ্জিত কদর্য রূপ ধারণ করি,
তোমাকে চির আলিঙ্গন করার তাগিদে।
তোমার বিস্তৃত কোলাহলে চির ঘুমে তলিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি,
তোমাকে চির মুক্তির সার্থে আমার এক পলক নিদ্রায়।
পৃথিবীর তৃষ্ণা মেটাও বলে জন্ম স্বীকৃত লগ্নে আমি তোমাতেই বিকশিত হই,
যতবারই তুমি শ্বাস গ্রহন কর,ততই তীব্র হই আমি।
অবধারিত,অন্তহীন লাশে কোন চেনা মুখে তুমি ভাসবে,
সূক্ষ্ম সুতোয় বাঁধা আমাদের বন্ধন।
তুমি ধরনীকে করেছ তৃপ্ত,আমাকে করেছ লিপ্ত,
চিরচেনা এই বিলাসিতার আমি যে জন্ম সূত্র।
অনন্ত অন্বেষণে তোমার মুক্তির সমর্থনে আমার  সুললিত শোক,
বরাবরই স্বচ্ছ আমি,জাগ্রত তোমার অন্তরালে।
এক স্নিগ্ধ ক্ষত অদৃশ্য চিরন্তন সত্য আমি,
প্রখর তেজা অর্ক আমি যে সূচনা লগ্ন থেকে বিরাজমান,
তৃষ্ণা নিবরণে তোমার চির মুক্তির পথে।
সময়ের নবপ্রেমে তুমি যত নবক্ষত,
আমার চিরপ্রেমে আমি চির জাগ্রত ক্ষত।
মুক্তির লালসায় উন্মাদ আমি প্রথাগত চক্রের সন্ধানে,
খোঁজ সমগতিতে বরাবরই অবিনশ্বরের নিখিলে।
যে জীবের ক্ষিদে নেই,সেই জন্ম জন্ম নয়,
যে জন্মের ক্ষিদে আছে,সে ক্ষিদেই যে মৃত্যু হয়।