আমি শ্বাদন্ত কান্নার মত কাদি,
যে কান্না এই দেহের কাছে তুচ্ছ।
আমি প্রতিক্ষন আলিঙ্গন করি,
যন্ত্রণার বুকে তিক্ত আমিতে।
যন্ত্রণা কই?কি ভেবেছ তুমি?
হৃদয় পোড়া দগ্ধ কালিতে আমায় তলাবে।
বিষাক্ত আর্তনাদে জ্বলন্ত হৃদয়,
নিশিতে হাহাকার যন্ত্রণার কাতরানি।
যন্ত্রণা সঙ্গ দাও উন্মাদ আমাতে,
অসীমে অনন্ত কালের অভিশপ্ত অগ্নিতেই চলই না।
মরন মরন নর্মতে যন্ত্রণার হিংস্রতাকে আলিঙ্গন  করি,
কই যন্ত্রণা?চলো পচাঁ রক্ত পোড়াই,
কি নিষ্পাপ ঘ্রাণ এই পোড়া রক্তে।
কি যন্ত্রণা? আমাকে তিক্ত আলিঙ্গন করাও,
তোমার শত তীব্র ঘৃণা দিয়ে,পারবে তো?
কত সুখ উপলব্ধি প্রয়োজন হলে তুমি আমাকে এই আলিঙ্গনে আবদ্ধ করবে?কতো?কতো?
যন্ত্রণা,এই যন্ত্রণা,চলো তোমাকে বাঁচতে শেখাই,
এই বক্ষে শত বিষাদের ক্ষত স্থানে পুঁজ ঝড়ছে,
রক্ত বইবে কত আর।
প্রেমময় পাঁজরে তীব্র ভালোবাসার অতলে দেখ আজ,
কি চমৎকার ঘ্রান,পুঁজ পোড়া দগ্ধ ঘ্রান,
যন্ত্রণা মিশাও গন্ধ নিশ্বাসে,জ্বালাও আপন তৃপ্তিতে।
শ্বাদন্তের কান্না রটাই আমি আমাতে,
পোড়াও যন্ত্রণার লাঘবে আমায়।
এই আমি ফিরবার নয়,কারণ আমি দিব্য,
আমার প্রিয়তমার কাছে।
নখে তীব্র খোঁচায় সেই নীল কান্না রটাই,
কত আলপনা আঁকছি পঁচা পুঁজ মাখা রক্তে।
যত স্বপ্ন তত যন্ত্রণা,যত চাহিদা তত আসক্ত,
যন্ত্রণা,যন্ত্রণা,কি লাঘব এই যন্ত্রণা,সুপ্রাচীন খোলসে।
ঘোলা অশ্রুতে শ্রেয় তার প্রার্থনা।