ক্লান্ত দুপুরের ভেজা রৌদ্র জলে স্নান করেছি,
প্রতিটি পশমকে এক পরম তীক্ষ্ণ আরামে কাঁদিয়েছি।
নিগড়ানো কালিতে কতই না এঁকেছি দূরত্ব,
যে না আয়েশ করে গিলে খেয়েছে বহুকাল ভগ্নহৃদয়,
দিয়েছে সর্বকলের ক্রুঁদে ভরা এক গ্লাসের  তৃষ্ণাত্ব।
তবে কাল হতে মহাকাল নির্মম জেগে থাকা,
সেই কবেকার কিছু অন্ধকার নিয়ে বসে আছি অজানাই।
সাজানো যত রং,
অগোছালো চুলের ভাজে খুঁজে বেড়ায় নিমজ্জিত আলোতে।
আমার এই বিকৃত জন্ম স্বীকৃত লগ্নে ফাঁসীতে জনম ধারা,
এই অনলে আমার দহন,ক্রুঁদ করছে আত্ম হরণ,
ভগ্ন হৃদে রক্ত ধারা কেমনে বাঁচি প্রিয় ফাঁসিতে যে শ্বাস দিয়েছে বিসর্জন।
কুড়ি বছর নির্মল দহনের পর ও কি সুপ্রভাত আসবে প্রিয়?
উপহার স্বরূপ পাবো যে আমি তুমি ছাড়া জ্যান্ত দেহ।
কিছু অগ্নি অনন্তকাল ধরে জ্বললেও তার কোন ক্ষয় নেই,
তার নিয়ম যেন ব্যতিক্রম ধ্বংস ছাড়াই জ্যন্ত মরণ।
চেপে থাকা শ্বাস আর পুরোনো দিনের স্মৃতির প্রতিঘাত চাইছে শুধু মৃত্যু হোক,
তবে প্রিয় জন্ম আমার তোমায় নিয়ে পূর্ণ হোক।
ক্লান্ত দুপুরে ভ্রান্ত নগরীতে রৌদ্র জলে তীক্ষ্ণ আরামে পূর্ণ হোক যন্ত্রনা,
কুড়ি বছর বাদে যেন ফিরে আসে প্রতিটি মুহূর্তের প্রার্থনা।
কত বিভৎস বিকৃত জন্ম স্বীকৃত হয়েছে এই ধরণীতে,
তবে কি তাহলে জন্ম হচ্ছে প্রতিটি বাকরুদ্ধ প্রণয়ের।