আমার সুস্থ শরীরের ঘুম আমার অবাদ্য সাহসের চেষ্টা,
নীড়ে পৌঁছাতে শত তৃষ্ণা এই ধরণীর বুকে,
তব যেন ছয়টি ইন্দ্র  অসুরের ক্ষমতা  স্বর্গধারনকারী চেতনা হারিয়েছে আমায়।
মানব মানব মানসিকতায় জন্ম,
আমি কেবলমাত্র বিবেকের যান্ত্রিক দেহের কাঠামো।
দেহের পথ চলা বিবেকের ন্যায় মনের বিপরীত।
আজ সত্যি কেমন যেন নির্ভোধ হয়ে যাচ্ছি  নিজের অজান্তেই।
আজ সুখ উপলব্ধি করার ক্ষমতা নেই,
নেই অশ্রু প্রবাহের মানবদেহ।
জীবন চলেছে জনম ধর্মে,মৃত্যু কবেকার বাসিন্দা?
মানব মানব মরন ক্রিয়ায় জীবন পালায় পালায়।
আজ সব কিছুর অবসান ঘটিয়ে ওপারে চলে গেছে মন,
আমাকে দিয়েছে নির্জনতায় নির্ভোধ প্রণয়,নিয়েছে সবই।
আচ্ছা কেমন আছো তুমি?
খুব কষ্ট হচ্ছে না তো?
তুমি বাস্তবতা শিখিয়ে গেলে,বর্তমান বাস্তবতা শিখে আবেগ হারিয়েছি।
তুমিই তো বলে ছিলে আবেগে দুনিয়া চলে না,
কিন্তু আজ কেউ যদি অসুখে কাতরায় আমি না পারি তাকে অনুভব করতে না পারি তাকে সান্ত্বনা দিতে,
ভাবি বাস্তবতায় তার নিয়তিতে এটাই লেখা ছিলো হয়তো।
দেখেছো আজ বাস্তবতা শিখে গেছি,
এখন আমার কাছে কোন উপভোগের বিষয় নেই,
আমি না জানো এখন মানুষকে অনুকরণ করি,
মুখটাকে বেজায় রুক্ষ রাখলে না নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়,
আমি পারিনা শত প্রশ্নের জবাব দিত।
অবহেলায় নাকি গুরুত্ব কমে যায়,
মনের বিপরীতে বিবেক ও তোমার গুরুত্ব কমাতে পারেনি।
কভু হয়তো বলা হয়েছিল বিবেক আবেগ দুটোই তোমার,
মানুষের আবেগ ক্ষনিকের হৃদয় হয়তো ভালো করেই জানতো।
বিবেক মাপতে পারেনি কতটুকু জায়গা ছিলো তোমার জন্য  মনের অন্তস্হলে,
হয়তো কোন সীমারেখা ছিলো না সেই জায়গার,
মানব পারে না এমন কিছুতো আর নেই।
এই দেহে তুমি অটল,
বাকরুদ্ধ  আমি বাকরুদ্ধ আমার হৃদয়।
বিবেকের কাছে পোঁছেনি শত প্রশ্নের উত্তর,
বিবেকের প্রশ্নের জবাব নিরুদ্দেশ।
তুমি বলেছিলে ভুলে যেতে তোমাকে,
ভুলেছি ঠিকই তোমাকে নয় নিজেক,
নিজেকে অজানা অচেনা গন্তব্যে হারিয়েছি।জানো বিবেক আজ জেনেছে বাস্তব জীবনে কোন মানব সুখ উপলব্ধি করতে পারে না,
আমরা যতটুকু সুখ উপলব্ধি করি তা আবেগের বসতিতে।
আমি যদি জনম কে প্রশ্ন করি তোমার সার্থকতা কে?
বলবে আমার বিনম্র বিশুদ্ধ প্রণয়,
যা আমার হৃদয় ধারা প্রবাহিত হচ্ছে।
মানুষ আমরা ভুলে পরিসমাপ্তি,
ভুলের জন্য এই সার্থকতা।
ভালোবাসা হারানোর বেদনা সহনীয় নয়,
আর ভালোবাসা হারায় তো নিকৃষ্ট দেহ,
তার ভাগিদার যে আমি নই।
কিন্তু আমি আজ বড্ড বেমানান এই নগরীতে,আমার না নিজেকে নিজের চোখে দেখার সাধ্য নেই তাই তোমাতে দেখি নিজেকে।
আমার স্বচ্ছ আমি তুমি ছিলে,
আয়না তো ঠুনকো,ক্ষনিকের বিলাসিতা দেখায়।আজ কেবলই চোখ ভিজে যায় কোন কারন ছাড়া,
আমি বুঝি না এই অশ্রু কিসের,
অশ্রু গুলো কি যন্ত্রণাদায়ক বেদনার নাকি অসুখের বিপরীতে পরম সত্যের।
তুমি কি জানো? আমাকে বলতে পারবে?
আমি না সত্যি অনুভব করতে পারছি না।
আমি বর্তমান নিজেকে অনুভব করতে পারি না,
আমার কাছে সব কিছুই অবহেলিত, নিজেও অবহেলিত তুমি ব্যতিত।
মাঝে মাঝে শত প্রশ্নের জবাব খুজঁতে খুঁজতে ভুলে যাই জীবন বাঁচাতে খাওয়া প্রয়োজন।
এই নির্বাক আমিতে নেই কোন সুখ,
নেই কোন বিষাদ এ কোন সময়ের ক্রিয়া চলছে দেহে।
এই বুঝি আজন্ম মৃত্য।
কোন এক কালে বলেছিলাম পাগল হয়তো হয়ে যাবো তুমি হীনা,
তবে কি পাগল হওয়াটা কম বড় শাস্তি ছিল?
নাকি চলার জন্য জীবিকা নির্বাহ করার জন্য আত্মসম্মান বাঁচানোর জন্য এতোটুকু বিবেক।
সৃষ্টা বুঝি এই নির্মম কবর তৈরি করলো আমাতে,
আচ্ছা তোমরা কি কেউ বলতে পারবে আমার যন্ত্রণা কতটুকু?
তোমরা কি কেউ এসেছিলে এই জগত?
তোমরা কি বলতে পারো জন্ম মৃত্যুর অন্তরালে কি?
আচ্ছা আমাকে কি কেউ বলবে আমি কেমন আছি?
খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
বিনীত অনুরোধ করছি,তোমরা কেউ বল আমি কি আজো বেঁচে আছি?