একা একটি রাত খুব গভীর মনে হয়,
তার অতলে তলিয়ে অধীর আকাঙ্খার অভিব্যক্তিটার দীর্ঘশ্বাস,
অন্তিম চেষ্টা আঁধার গর্ভ খোঁজার।
আমি প্রতিফলিত করি আঁধারে আলোকে,
এক বিকট নিশ্বব্দতা আর বালিশে পরা এক ফোঁটা মায়া অপলক আমায় দেখে।
আমার অবচেতন এক বীভৎস ক্ষুধা জাগায়,
বিকৃত দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট ভাবায় নিজেকে।
এই তন্দ্রা ছন্ন রাত্রি যাপনে জ্যন্ত করি একমুঠো আত্ম শ্বাসে,
বার বারই চোখ যায় নিজ ছায়ায় এই অন্ধকারে।তীব্র শোক আত্ম কোষে,তবে এই মূহুর্ত কার?
এক অবয়ব ভয়ঙ্করদর্শনে এই অন্ধকার বিনিদ্র রক্তচক্ষু,
তবে কার এতো কোলাহল নিঃশব্দ প্রার্থনায়। রক্তিম চোখে দেখা, দৃঢ স্পনদনে ডাকা,
তবে আঁধারের গায়ে যে অবয়ব কে সে?
স্পর্শদূরে এতো গহীনে কে সে?
না আছে আলো না আছে কেউ,
তবে কে সে যে অনুভব করে আমায়?
অবয়ব হাসে আমার দৃষ্টিতে,কি নিকৃষ্ট হাসি তার,হাসিতে তার অট্টহাসি আবার চোখে অশ্রু।কি বিকৃত এক হাসি,না পারছি বুঝতে না সে বোঝাতে সক্ষম।
কি আছে হাসিতে? রক্তিম কোন তরতাজা বিষাদ,
নাকি কষ্ট সাধ্যে সিদ্ধ সুখ?
এ কেমন হাসিতে বাঁচা?
মনে হয় ধ্বংস অবিরাম অন্তহীন নিভৃত এই প্রাণে।তবু কিন্তু আমি একরাশ আত্ম শ্বাস নিয়ে বসে আছি অজানা আঁধার গর্ভে।এই মহার্ঘ তরিনদ্রীঝা আমি মায়ার দেবতাকে স্পর্শ করি শতবার অজস্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সূক্ষ্ম মায়ার টানে।এক অন্ধ নিশ্বাস জীবিকার তাগিদে অজানা কোন বিশ্বাসে প্রবেশ করে অনন্তকাল বেঁচে নিশ্বাসের কদর বোঝায়।আমিও এই অন্ধত্ব নিশ্বাসে বেঁচে অন্ধ বিশ্বাস আঁকড়ে এক অন্ধকার দেহে আধারে অদৃশ্য হয়ে বাঁচি। বেঁচে থাকি সহস্র ফাটল ধারায় প্রবাহিত অন্তর নিয়ে।


২৪/০৮/২০২০