ঘড় ছারলাম,গ্রাম ছারলাম,শহর-বন্দর ছাইড়া নদীতে আইলাম
আর কতকিছু ছাইড়া দিলে তুমি ছাইড়া যাওয়ার দুঃখ পোষাইবো কও!
রাইতে না ঘুমাইয়া নিশিবক হইলাম,আসমানের দিকে চাইয়া
চিল্লাইয়া কইলাম,”মাবুদ! হেওতো রক্ত মাংসের মানুষ মাত্র,তারে ভুইলা যাইবার পারিনা ক্যা!”
তুমি আমার হইলা না।
মদ-গাঞ্জা খাইয়া পইড়া থাকলাম,সমস্ত কিছু ছাইড়া দিয়া একলা হইলাম,মসজিদে-মন্দিরে মানত করলাম।
ভাঙা সানগ্লাস,ভুল কবিতায় নষ্ট হওয়া কাগজ এর মতো নিজের ভিতর থাইকা তুমারে বাইরকইরা ফালাইয়া দিতে পারলাম না।
একখান গল্পের দাঁড়ি,কমার মতো কইরা তুমারে ভুইলা যাইবার পারলাম না।
বুকের ভিতরখান শূন্য কইরা হে তোমারে কাইরা নিলো।
আমি যেমন শেষ সিগারেটখান সঞ্চয় কইরা রাখি,হে কি তোমারে অমন কইরা আঞ্জাইয়া রাখে!
যার হাত ধইরা হাঁটো,ঠোঁটে চুমু খাও,মন খারাপের রাইতে উঠান হও,মাথা হাতাইয়া দাও,দুঃখ ভুলার গল্প কও।শুধু মাত্র তোমার লাইগা হে কি তার ভাঙা বুকের শেষপ্রান্ত থাইকা একখান কবিতা বাইর করে!তোমারে হারাইবার ডরে তার সমস্ত কি একবার কাইপা উঠে!
আমারে একখান শূন্যতা ধরাইয়া দিয়া যে তোমারে জিতে গেলো,হে তোমারে আজীবন ভালোবাসুক।