গতকাল


পতিত ছন্দের তালে মাতাল হয়ে
ভর দুপুরের রোদে ভিজে উঠে কবিতার মাঠ।


উপকথাগুলো খাপ খুলে সীমার ওপারে চলে গেলে
ডুবন্ত সূর্যের রঙে অবগাহিত অঞ্চল
বাড়ি-ঘর কৃষ্ণচূড়ার ডালে একাকার হলে
দেখা যায় চর ডুবে চোখের আড়ালে।


গতকাল


দিস্তার পরে দিস্তা উড়াই বৈশাখী ঝড়ে
যা কিছু চোখ ছুঁয়ে যায় প্রত্যেক প্রহরে
শব্দের পাঠে জেগে থাকা রাতে,
মেঘদলে সওয়ারী হই রোলটানা ক্যানভাসে
আবারো সীমাহীন সীমানার খোঁজে।


আজ


চারদিকে চেরী বন্দনা শেষে ফুটপাথ চলে
অজস্র পাপড়ির কার্পেটে ভর করে,
পদক্ষেপের শরীরে তৈরী রাস্তার ভীড় ঠেলে
সমস্ত গাঢ় রঙগুলো সাজে বিষাদের বেশে
ঐকিক নিয়মের পাশে সহায় সমাধানে।


আজ


বসন্ত বাতাস তবু চোখগুলো আকাশ দেখেনা
আপেক্ষিতার ভারে ভরে উঠেনা কবিতার ঘর
অদ্ভূত স্রোতের কোলে সময়ের অজানা যাত্রা
সমসাময়ীক বৃত্তের মাঝে কেন্দ্র হবেনা।


আজ
মহাব্যস্ততা,ইট-পাথরের সুরসিক মোহে
আপাত নিশ্চুপ ঘুমন্ত পাড়ার ঘরে ঘরে হাটে
দিন তার রৌদ্রের পসরা গোটায় অবহেলা ভরে,
সেদিকে বেখেয়ালী নই তারপরো কলম বাড়াইনা।


আজ ঘুমের অভিনয় শেষে বিষাদ উঁকি দেয়
আহা! চোখগুলো বৈশাখী ঝড়,কৃষ্ণচূড়ার আগুনে পৃথিবী দেখেনা।