আমি যখন মেঘ ভালবাসি,
মেঘও আমায় ভালবেসে দেয় উঁকিঝুঁকি,
হঠাৎ একদিন দেখি থমকে গেছে আকাশ,
বিষাদে ধরেছে তার মন,
বৃষ্টি হয়ে ছুঁয়েছে আমায়,
কাটার মত বিঁধেছিল প্রতিটি ফোঁটা,
আমি যখন গোলাপ ভালবাসি,
পাঁপড়ি ছেড়া পাপ বলে ফুলকে চুমো দেই,
সেও সলজ্জিত হয়ে আমার চুমোয়
নেতিয়ে মুচকি মুচকি হাসে,
আমি তার রুবির মত মখমল
দেহ স্পর্স করে যাই,
হঠাৎ একদিন সেও শুকিয়ে যায়,
হিংসার বিষন্ন রঙ তাকেও ছেয়ে যায়,
আমি যখন উন্মনা খোলা রাস্তা ভালবাসি,
সেও ভালবেসে আমায় পথ দেখায়,
হঠাৎ একদিন সেও পথ বদলে ফেলায়,
আমার জন্য পথ থামিয়ে দেয়
শুন্যের দোরগোড়ায়,
তখন দেখি বাধার ব্যারিকেড,
বুঝি এতটাই অসহ্য লাগে?
আমি যখন সুন্দর হাসিটা
সবচেয়ে বেশি ভালবাসি,
হঠাৎ দেখি সেও উবে যায়,
ঘোমড়ামুখে অভ্যর্থনা জানায়,
আমি যখন তোমাদের ভালবাসি,
তোমরা আমার সাথে মিছে
অভিনয় করো,
ঠিক সেই গোলাপের মতো,
ঠিক সেই মেঘের মতো,
ঠিক সেই আদিম উন্মাদনার মতো,
কংক্রিটের দেয়ালে হাতুড়ি মারো,
তোমরা কি জানো এ পোড়ামন
লাভায় ছেকড়া দেওয়া?
তোমরা কিভাবে জানবে আমি অগ্নিকন্যা?
তোমরা কিভাবে বুঝবে এই মরমী সাধনা?
কারন তোমরা দেখনি পতনের গভীরতা,
খাদ থেকে উঠে আমি চূড়ায় উঠি,
মেঘ হতে মেঘে মিলে বাষ্প হয়ে উড়ি,
সোপান হতে সোপান বেয়ে আত্মহত্যা করি,
আমি আঘাত পাই,আমি ভালবাসি,
আমি সুন্দর নির্মলকে তবু ভালবাসি,
আমি শিলার দিনে বিশ্বাস করি,
আমি তারপরো অভিমান করে নিজেকে খুঁজি,
আমি অতল সাগরে নিটোল কঠিন
সত্তা ঢুঁড়ে বেড়াই,
আমি শেকলের প্রতিটি ফাঁকে
স্বাধীনতা খুঁজে ফাক-ফোকরে হারাই,
আমি বারবার ভুল করি,
বারবার ভালবাসি,
বারবার ফিরে আসি,
প্রত্যেকবার নতুন কিছু শিখে,
প্রত্যেকবার নতুন আমি হয়ে,
প্রত্যেকবার নতুন নিয়ম নিয়ে,
কারন ধ্রুবতাই আমার পরিচয়,
কারন,মাতৃকোটরের অন্ধকার
থেকে আলোর দিকে যাত্রাবেলায়
এ পৃথিবী আমাকে কিছু একটা
দেবার আশ্বাস দিয়েছিল তাই,
যা ভুল বোধে ভুল কালে আজো ভুলি নাই।