আমার ইচ্ছে—
এক পায়ের ঠোকরে ইতিহাসের ঢালাই গুঁড়িয়ে ফেলি,
শিরায় শিরায় বয়ে যাক ক্ষমতার রক্তচোরা শিরনি।
এক হাতে উন্মত্ততা, অন্য হাতে ধর্মের ধূসর ধ্বজা—
আমি হাঁটি, খড়ের মতো পুড়িয়ে দিই পরিচয়ের ভাঁজ।

আমার ইচ্ছে—
সে হিন্দু? তবে সে তো কেবল চিহ্ন!
চিহ্ন মানেই শত্রু, আর শত্রুকে ভালোবাসি না আমি।
তাই একে বুকের গহীনে গুলি ফোটাই
আর সেই শব্দে রচনা করি বিজয়ের ব্যালাড।

আর যদি হয় সে মুসলমান,
তার দাড়ির ফাঁকে যদি লুকিয়ে থাকে বোমা!
আমি তাকে দেশপ্রেমের দেয়ালে টাঙাই
একটি পোস্টারে— যেখানে রঙ নয়, রক্ত শুকোয়।

দলিতের শরীরে যদি সিল্কের শার্ট ওঠে,
আমি ঝাঁপিয়ে পড়ি,
কারণ শ্রেণির ওপরে পোশাক নয়—
শোষণের মনোলগ চলে।

আমার ইচ্ছে—
নদী যেন না গায় জলছন্দের গান,
তাই তার গলায় বাঁধ বেঁধে দিই নীরবতার মালা।
বিদ্যালয়ে পুঁতিঁ শাসন আর সুশাসনের নামে অপচেতনার বীজ,
পাহাড়ে, আমি উল্লাসে রোপণ করি উন্মাদ চাঁদ।

আমি ঈশ্বর নই,
আমি শয়তানও নই,
আমি তো সেই ‘আমি’—
যার ইচ্ছেতে সভ্যতা কাঁপে,
আর বিবেকে বাঁশি বাজে নীরবতায়।