আমি এক আলো ঝলমলে প্রদীপ,
বাইরে রঙিন শিখা—
লাল, কমলা, নীল বিভ্রমের ছটা।
কিন্তু ভিতরে?
ভিতরে শুধুই কালো কয়লার স্তূপ,
যে দগ্ধ হয়, পোড়ে,
তবু আলো ছড়ানোর ভান করে।
হাওয়ারা আসে, ফিসফাস করে,
কেউ বলে প্রেম, কেউ বলে স্বপ্ন,
কেউ বলে জীবন সুন্দর!
আমি টলে যাই, শিখাটা কেঁপে ওঠে,
আলো আমার নয়, আলো ধার করা।
হাওয়ার দোলায় আমি পথ হারাই,
নিজের ভিতরের অন্ধকারেই ডুবে যাই।
যারা আসে, যারা যায়,
তাদের রং, তাদের ভাষা—
আমার জন্য নয়।
আমি শুধু ছায়াদের সংসারে বন্দী,
অন্ধকারের ঘেরাটোপে একাকী,
যেখানে রোদের প্রবেশ নিষেধ।
তাই নির্বাক হবো,
শব্দেরা এসে ধাক্কা দিক,
কথারা ঝড় হয়ে বয়ে যাক—
আমি শুনবো না, বলবো না কিছুই।
আমাকে চুপ থাকতে হবে,
নইলে এই আলো, এই রঙিন শিখা,
ফিকে হয়ে যাবে একদিন।
আমি নির্বাক হবো,
কোনো বাতাসে দুলবো না,
কেউ ছুঁতে পারবে না আমায়।
আলো ফুরিয়ে গেলে—
আমি নিভে যাবো,
অন্ধকারের মাঝে, চিরতরে।