যাবার বয়সে সে রয়ে গেল ঘরে,
চোখে তার ছিল ছুটি, হাতে ছিল শিকল।
অন্যেরা খেলায় খুঁজে পেল স্বপ্ন,
তার স্বপ্নটা মেখে গেল বাসনের কলরোল।

তখনও সে শিশু, তবু সংসার বলল —
“তুই তো মেয়ে, শিখে নে আগেভাগেই।”
খেলার ছলে সে শিখল গৃহের ব্যাকরণ,
বর্ণমালায় জুড়ল—ঝাঁটা, কাঁসা, কাঠের ঘুম।

বছরের পর বছর ধরে আঙুলে উঠল ফাটল,
কণ্ঠে জমল ধোঁয়া,
কেউ কোনোদিন বলল না—
“তুই এক শ্রমজীবী।”

তার কাজের ছিল না ছুটি,
ছিল না হিসেব, ছিল না মজুরি,
ছিল শুধু নিঃশব্দ অভ্যস্ততা—
যার নাম দিয়েছে সমাজ, “নারীত্ব”।

সে গাইত না গান,
তবু তার হাঁড়ির শব্দে বাঁধা ছিল সুর,
সে কবি ছিল না,
তবু তার পরতে পরতে লেখা ছিল
অদেখা জীবনের দীর্ঘ পঙক্তি।