বর্ষায় বালিকা বধু


বর্ষার মৌসুমে কদম, কেয়া, কৃষ্ণচূড়া ফুটে রাস্তার দুপাশে
বৃষ্টির ঝাপটানিতে ভেজা কাক বসে  কা কা ডাকে ডালে,
গাছের  ভেজা পাতার পানি আনমনে টুপটাপ ঝরতে থাকে
টাপুর টুপুর শব্দ তুলে নদীর পানি ছলাৎ ছলাৎ শব্দ করে।


নৌকা এপার  হতে ওপারেতে যায় পাল তুলে নোঙর তোলে
গাঙের বধু কলসি কাঁকে জল আনতে নদীর ঘাটে যায়।
বৃষ্টিতে শরীর ভিজে আলতো পায়ে বালিকা বধু লজ্জা পায়  নত মুখ করে এগিয়ে যায়, বাড়ির পানে ছন্দের তাল তুলে।


নৌকা চলে পাটের বোঝা নিয়ে ব্যবসা করতে কোন দূরের হাটে
হঠাৎ করেই চোখে চোখ, লজ্জায় মুখ লুকায় ঘোমটা টেনে দেয় ,
পদ্ম পাতায় বৃষ্টির পানি টলমল করে,কখন যেন টুপ করে ঝরে পড়ে।
বালিকা বধুর খোপায় বেলি ফুল সুবাস ছড়ায় চারপাশে
রৌদ্রজ্জ্বল আলোয় বদন খানি সোনা ঝুরি ফুলের সৌরভে
লাগছে ভীষণ বেশ , হলুদের আভা চোখে মুখে অবয়বে।


গাঙ পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে প্রতীক্ষার প্রহর গোনে এক দুই করে
সময় ঘুড়ি উড়তে থাকে ঐ গগনে বেলা যে পড়ে এলো
কেউ কি খেয়াল করেছে, একা আর কত খেয়া নৌকা গুনবে?
এমনি করে বর্ষা মৌসুমে ভরা যৌবনে প্রকৃতি নাচে খেয়ালে
বালিকা বধু মনের জানালায় বেসুরো গলায় পল্লীগীতি গায়
এবার বর্ষায় প্রিয়তমা আসবে আপন ঠিকানায় নদীর তীরে
তালপাতার ছাউনি ঘরে সুক সারী বাসা বাঁধে ভালোবাসায়।


২৬/০৪/২০২৪
নন্দিনী লুইজা