পায়ে বেঁধেছে কাঁটা, শিকল ভেঙ্গে নবজীবনের আহ্বান


গত বছরগুলোতে ছিল ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত রোগীর আর্তনাদ
অনেক বৈদ্যো, কবিরাজ,ওঝা হেকিম কত না দাওয়াই
যে যা বলছে তাকেই বিশ্বাস করে চলছে বেঁচে থাকার আশ্বাস।
কত‌ই না রিসার্চ কত পন্ডিতের বড় বড় বলি এই বুঝি মুক্তি
আস্তে আস্তে ক্যান্সারের জীবাণু মাট্রোসিস প্রক্রিয়ায় ছড়াচ্ছে,
একদিকে কেউ বলছে এই কাজ করতে হবে পুরাপুরি সুস্থ
জীবনটা আবার নতুন করে সাজানো হবে ফুল ফুটবে।
অন্য দল এসে বলছে নিরেট বোকা,যা বলেছে ভুল বলেছে
আমার কথা শুনুন ক্যান্সার পালাবে তো বটেই ভাগ্য খুলে যাবে।


এমন মায়াবী দরদী কে হয়েছে কবে,এটাই সত্যি বিশ্বাসী তাকে,
এমন অনেক গোলোক ধাঁধায় জীবন করেছি পাত,
ভাবি আগামীতে হবেই হবে এমন জটিল ব্যামো নিরাময়।
হায়রে ভাগ্য বলি আর কপালে জোটে চোর বাটপারের দল
ভাবনায় ফানুস উড়িয়ে লাটাই ধরে থাকি, দেখি ভাগ্যের ঘুড়ি কোথায় উড়ে।


আমার চিন্তায় নিজ হাতে জটিল অংকের, সমাধান দিয়ে থাকি
মানুষেরে ভালোবাসি,মানুষকে করি বিশ্বাস, এটা কী বড় পাপ করেছি-
আমাকে সৃষ্টি করেছেন যিনি, তাঁর বিধান সৃষ্টিকে ভালোবাসো তাঁকে পাওয়া যাবে
এমনি ধারণায় বড় হয়ে, আজ দেখি চারিদিকে সংক্রামক ব্যাধির ছড়াছড়ি।
আমাকে আক্রান্ত করে, ক্ষত বিক্ষত করে আঁস্তাকুড়ে বাস
আমিও বাঁচতে চাই, সত্যের অনুসন্ধানে,জীবাণুকে ধ্বংস করে সুস্থ জীবনে।
পুড়তে পুড়তে তামা হয়ে নিজেকে বলেছি- ধৈর্য ধর, সত্য করে কাজ কর,
ভুলে গেছিস ইতিহাস- এই বাংলায় মীর জাফরের কথা, তাহলে চুপ কেন?
অবুঝ মন, বুঝে ফেলেছিস নিশ্চয় তোর আশপাশের পরিবেশ পরিজন।
তাহলে বাঁচার লড়াই থামবে কেন,নিজেই আবিষ্কার কর মহৌষধ, সেবন কর,
টাকা কড়ি খোয়া, অপমান,লান্ছনা মানুষ চেনা কম হয়েছে কি?
এবার নতুন করে বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত ঝাঁপিয়ে পড়ে শত্রুকে
পরাস্ত কর,
ভুলে যা পেছনে ফেলে আসা সমস্ত উপন্যাস, এরার সুস্থ দেহ মনে,
পুনর্জীবনে ফিরে, নতুন রঙে রাঙিয়ে দিয়ে, পুব আকাশে
সূর্য উদয় হবে, রাঙা প্রভাতে নতুন পৃথিবী রচনায়, তুমিই অমর হবে।


০১/০১/২০২৪
নন্দিনী লুইজা