স্বাধীনতা অর্জন করেছি, রক্ষাও করবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম


১৯৭১ সাল
২৫ শে মার্চ কালরাত্রি ছোট শিশুটি জানতে পারেনি
ভয়াল রাত্রেই শুরু গণহত্যা পাকিস্তানের বর্বরের চিত্র
শিশুটি প্রচন্ড শব্দে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে
মায়ের বুকের পাঁজরের মধ্যে মুখ লুকায়
তবুও বারে বারে আতঙ্কিত হয় আবারো চিৎকার করে কাঁদতে থাকে কান্নার শব্দ স্বাধীনতা চাই স্বাধীনতা চাই।

৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবাল বৃদ্ধ দামাল ছেলেরা
লাঠি সোটা হাতে নিয়ে দেশের মাটিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে।
স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর‌ও এ দেশের মাটিতে
হানাদার বাহিনীর প্রেত্মাতা বাস করে যত্রতত্রভাবে,
দেশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চলে অপচেষ্টা
এসব হায়েনা যায় না তো চেনা,বাস করে আশে পাশে।

  স্বাধীনতার সুখ যদি বুঝতো তাহলে মানুষে মানুষে অসম্মান, ভেদাভেদ আর বৈষম্য কি থাকতে পারতো,
আত্মীয়-স্বজন ,ভাই বোন  যুদ্ধে গিয়ে শহীদ হয়েছে
তাদের  বুকের আগুন অর্ণিবান শিখা  জ্বলে দিবানিশি।


কতটুকু রক্ত ঝরছে বর্তমান প্রজন্ম  কি তা জানে
স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস খুঁজে বেড়ায় আপনজনে,
নাম  না জানা মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর রয়ে গেছে অযত্নে
তাদের সন্ধান দুই  বাংলায় আজও খুঁজে ফিরে ।
বিবেকের তাড়নায়  কোন কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্যে নয়  শেখড়ের সন্ধান করে চলেছে নিজের ইতিহাস খুঁড়ে ,
এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্ম  মাহেন্দ্রক্ষণ আসবে বলে।


আগামী প্রজন্ম দেখবে পূর্ব আকাশে লাল সূর্য উদিত
সবুজের মাঠে কৃষকের স্বাধীনতার  বিজয়ের সুখ
আমরা স্বপ্ন দেখি এদেশে সোনার দামাল ছেলেরা,  স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে যেমন করে রক্ষা করেছিল   বাপ ,দাদা, চাচা, মামা ,দুই লক্ষ সাহসী অপরাজিতা ।


২৬/০৩/২০২৩
নন্দিনী লুইজা
শিক্ষক,কবি, গবেষক ও প্রকাশক
বর্ণ প্রকাশ লিমিটেড