অহোরাত্র ঢেকে রাখি ফুলে ফুলে ক্ষতচিহ্ন,
ক্ষত শতেক, হাত দিওনা, হৃদিপদ্ম শতছিন্ন ।
ছিল মাটির কুটিরঘর, আকাশ ছিল পলাশরাঙা,
জোৎস্না-মাখা চরাচরও ভালবাসার ছিল কাঙাল ।
ভালবাসা মরল কবে, মাটি নয় আর শীতলপাটী,
কাঙাল বড় মননশীল, প্রেমের কথায় দাঁতকপাটি ।


অহোরাত্র ঢেকে রাখি  পাথর চেপে ক্ষতচিহ্ন,
অনড় পাথর, দাগ টেনে দিই, মাটি হল ভাগভিন্ন ।
উড়ছে কত পাপড়ি ফুলের, পথে তাদের ঘরঠিকানা,
ভাল কিছুই দেখতে না পায়, বাঁশবনে কাঙাল কানা,
এদিক ওদিক ভালবাসার কাঙাল গজায় ইতস্তত,
খুঁত খুঁজতে, খুঁজতে ক্ষত কাঙালগুলো সিদ্ধহস্ত ।


অহোরাত্র ঢেকে রাখি রং-তুলিতে ক্ষতচিহ্ন,
চাপান-উতোর ক্যানভাসে তেল-জলের ব্যথা খিন্ন ।
নানান রঙে ভরল আকাশ, অকালহোলি গঞ্জে-গাঁয়ে ।
অন্ধ কাঙাল রং চেনেনা, তাকায় না তো ডাইনে-বাঁয়ে।
বৃষ্টি এসে ধুয়ে দেবে ক্ষতচিহ্ন রং সরিয়ে—
দেখতে তখন ভিড় করবে কাঙালগুলোর বংশ গিয়ে ।


অহোরাত্র ঢেকে রাখি  মাধ্বী-রসে ক্ষতচিহ্ন,
কাঙাল তবু এমনি বোকা, খুঁজবে শুধু “হা অন্ন!”
মাটি তো নয় বন্ধ্যা মরু, ফসল ফলে কি উল্লাসে!
কাঙালগুলো মিচকে এমন, হিসেব গোনে শুধু লাশের,
ক্ষতচিহ্নে লবণপ্রলেপ, কাঙালগুলোর এমনি পেশা ,
অন্ন পেলেও না খেয়ে সব বিষ- বাতাসে করবে নেশা ।


অহোরাত্র ঢেকে রাখি ফুলে ফুলে ক্ষতচিহ্ন,
ক্ষত শতেক, সারাতে চাও ? হতে কি চাও দেশবরেণ্য ?
উচ্চাকাঙ্ক্ষা ? কোন কাঙালের? নাকি সেটা অন্য কারো ?
তবে তারা কাঙাল তো নয়, অন্য কিছু ডাকতে পারো ।
ফুল ছড়িয়ে, রং চড়িয়ে ভালবাসার সবাই কাঙাল ।
অহোরাত্র ক্ষত ঢেকে খেলছে শুধু কুমীর-ডাঙ্গা ।