গোলাপ, তুমি কি সুন্দরী মনোরমা তিলোত্তমা
           আমি দূর থেকে তোমাকে দেখি
আর মুগ্ধ হয়ে যাই, আমার খুব ইচ্ছে করে ;
তোমায় একটু স্পর্শ করি, তোমার দেহের ঘ্রাণ নিই ---


গোলাপ, তোমার গা নাকি
           মুঠোপিছলানো স্তনের মতন পেলব মসৃণ স্নিগ্ধ !
তোমার দেহে নাকি, মনমাতানো কস্তুরীমৃগ সুরভি !
আঃ, তোমায় যদি আমার হাতের মুঠোয় পেতাম ----
গোলাপ, আমি তোমায় একটু স্পর্শ করে দেখতে পারি ?


উঃ! বিষম জ্বালা,দেখ আমার হাত কেটে রক্ত ঝরছে,জ্বালা করছে-          
গোলাপ,তোমার ঐ কাঁটাগুলোকে ঝেড়ে ফেলে দিতে পারো না ?
আচ্ছা গোলাপ, আমি তোমার দেহের একটু ঘ্রাণ নেব ?
উঃ ! ভীষণ যন্ত্রণা,দেখ আমার নাক চিরে রক্ত পড়ছে,যন্ত্রণা হচ্ছে-
গোলাপ,তোমার ঐ কাঁটাগুলোকে তুমি মুড়িয়ে ফেলতে পারো না ?
তাহলে তো তোমার মখমলী দেহে হাত বুলাতে-  দেহসৌরভের ঘ্রাণ নিতে, জ্বালাযন্ত্রনায় জর্জরিত হতে হয় না


গোলাপ,তোমার গুলাবি পরাগচাক নাকি সুস্বাদু মধুরসে টইটুম্বুর !
আহা ! আমি যদি আমার পিপাসিত জিভটা একটু
ছুঁইয়ে নিতে পারতাম তোমার ঐ টসটসে মধুভান্ডারে
তাহলে পরাগসুধা পান করে আমি অমর হয়ে যেতাম ------


_'ওহে স্বার্থপর কাপুরুষ, তুমি দূর থেকেই আমায় পরিদর্শন কর
আমায় স্পর্শ করার,আমার দেহের ঘ্রাণ নেবার,আমার ভাঁড়ার থেকে মধুরস লুন্ঠন করার --- অভিলাষ, তুমি পরিহার কর
সে অধিকার তুমি অর্জন কর নি
তুমি শুধু আমার পেলব দেহের উষ্ণ পরশ পেতে চাও
আমার দেহের সুগন্ধী আঘ্রাণ করতে চাও
আর আমার কাঁটার জ্বালা যন্ত্রনাগুলো ______
সেগুলো কে সইবে, হে মহান পুরুষ !'