দেখেছো অনেক মেলা, আমোদিত ভীর ঠেলা,
                               মেলে সেথা সোখিন দ্রব্য।    
বইয়ে থাকে জ্ঞানঠাসা, গ্রহিলে কেউ হয় খাসা  
                                 শিক্ষিত সমাজের সভ্য।
বই মেলার বইগুলি; দেখো সব পাতা খুলি,
                            কোনটাতে কত জ্ঞান আছে।
কোথা আছে রাজাবাস কোথা আছে ভূমিদাস
                           কোথাকার জীব কোন ছাঁচে।
নদীর জন্ম কোথায়; কোথা গিয়ে মিশে যায়,
                                কোথায় গতি তার শেষ।
প্রকৃতির বানানো ডেরা; সাতটি পাহাড়ে ঘেঁরা,
                                মনহরা সুশোভিত দেশ।
রঙ্গিন বিছানা পাতি; হয়ে শান্তির আশ্রয় সাথী
                             প্রকৃতির কোথা হাসি মুখ।
বরফের চাদর পরা; সুশীতল পাহাড় চুড়া,
                             কোথা আছে নয়ণের সুখ।
দুর্গম আকাশ,পাহাড়, ভয়ঙ্কর বনানী আর-
                               ভয়াবহ সাগরের জলে,
কে অর্জিল খ্যাতিপনা; পেল কেবা নজরানা,
                           গুণে ভরা জ্ঞানালোক বলে।
কেবা ছিল রামরাজা, কেবা ছিল মহারাজা,
                         কারা ছিলেন প্রজাদের ত্রাতা।
এই-সবের উত্তর যত; বই-ই রাখে অক্ষত,  
                         বই-ই জেনো শুধু জ্ঞানদাতা।
বলো তোমরা নেট বলে; সব কিছু দ্রুত চলে,  
                             আছে আজ হেথা বিজ্ঞান।
পৃথিবীর স্বজীব বংশ; যদি সব হয় ধ্বংস,  
                             তখনই তো হবে অজ্ঞান।
পুরাতন ধারা ফেলে, জ্ঞান-চোক্ষু দিল মেলে,
                          গড়ে দিল ছাপাখানা কারা।
আমি আজ বলি শোন; আছে নাকি জ্ঞান কোন,
                            পৃথিবীতে এই বই ছাড়া?