শিশু এক জন্মিল ধরায়-
মালদার ছোট এক গ্রামে, তিথি পূণ্যক্ষণে।  
কথা ফুটতেই বলল একদা,
এখানে কেন? বাড়ি তো আমার বর্ধমানে।
মাকেই বলে,“তুমি নও-মা,  
মা রয়েছে সবুজে ঘেরা ছোট্ট এক ঘরে।  
একা একা বসে একমনে,
সেথা নক্সিকাঁথা গড়ে আর গৃহকাজ করে,
পিতা মোর স্বর্গবাসী,
হায়! দুরারোগ্য ব্যাধি ওই কর্কট রোগে।
আমি কেন হেথা বসে!
দেখছি যেন সবকিছু কোন মহা-যোগে!”
পূর্ব-জন্মের কথাগুলি-
খেলার ছলে আপন মনে বলে সে গরগর।
আমি সেই গৌরব।  
মাতা প্রতিমা আর পিতা অমরেশ ধর।
শুনে অবাক গ্রামবাসী,  
প্রতিবেশী গ্রামও ভীড় করে সেই খবরে।
কানে কানে রটে যায়-  
দেশ ও বিদেশ সহ ঐ পূর্ব-জন্মের শহরে।
মাতৃ-কর্ণে প্রবেশিলে তা-
মাতা উতলা-মনে করে বাহির আর ঘর।
দেখেননি তবে শুনেছেন,
কখনো কখনো ধরায় জন্মেছে জাতিস্মর।
সুযোগ এলো প্রমাণের্ এক,
না’করে বিলম্ব তিনি ছুটলেন তাড়াতাড়ি।
যেথা আছে সেই ছেলে,  
সেই জমকালো ভীড়ে ঠাসা—ঠাসি বাড়ি।  
সামনের সারিতে গিয়ে-  
দাঁড়ালেন অবশেষে জনারণ্যে ভীড় ঠেলে।  
দেখলেন বসে দাওয়াতে,  
বিষন্ন মন নিয়ে এককোণে সেই ছেলে।
মা তারে দেখে বারবার্,
এই ছেলে নয় তার, সু-দীর্ঘ নিশ্বাসে বলে।  
তবুও জানিনা কোন টানে-
ঐ স্থান হতে আজ ফি্রিতে পদ নাহি চলে।
একবার হঠাৎ মুখ তুলে,
দেখে নিয়ে দর্শক পানে তীরবেগে ছুটে এসে,
জড়িয়ে ধরে সে আস্টেপিষ্ঠে-
বর্ধমান হতে আগত নারীকে বড় ভালোবেসে।