মহা কঠিন এই জামানায়-  
এমন জাদু করলি আমায়;    
ও আমার,“কুহকিনী আশা”!
এক নজর না ছাড়তে পাড়ি,
কিছুই যেন ভাবতে নারি,
গড়তে নারি একাকিনী,বাসা।
তুই জগতের নিশ্চিত আপন-
থাকিস আবার অতি গোপন,
অনুভূতিটা পায় কেবল সবে।
তোর মায়াতেই জীবরা বাঁচে,
উষ্ণতাও পায় তোরই আঁচে-
হরযুগেতে সেই বন্ধনই রবে।    
পৃত্থী গৃহেই বিছিয়ে ইন্দ্রজাল,  
বৃহৎ, ক্ষুদ্র সকল খন্দ খাল-
গড়েছিস ওরে চিরশক্ত-ভীত।  
আকাশবক্ষে উড়িয়ে দিয়ে ঘুড়ি,  
দুঃখ, সুখের বিলিয়ে সুড়সুড়ি-
আজ মহাজন মন্ত্রাপ্লুত মিত।
জগতেই তোর মহতি মহিমা!
কেউবা জানে কেউবা জানেনা,
জানলে তারে জ্ঞানী,বিজ্ঞ কয়।
জানেনা যে, সে বড় অচেতন,    
পদে পদে পথে, ঠকে সারাক্ষণ,
জ্ঞান বিনে রবে চির-অবক্ষয়।