নারায়ণ চন্দ্র হালদার


নববর্ষের আগমন –
দেশবাসীর মনে আনুক
নতুন এক জাগরণ।
এই চেতনার আবেশে,
বিশ্বসহ স্বদেশে,
পুরাতন হোক অবসান।
প্রকৃতি উঠুক রেঙে।
ভাঙ্গা প্রাণ যাক ভেঙে-
নবীনের হোক উত্থান।
খুশির জোয়ারে ভাসুক দেশ,
কেটে যাক ভয় গ্লানি ক্লেশ।
দিকে দিকে বেজে উঠুক নব নব ধুন।
দিগন্ত থেকে উঠুক জেগে নব নবারুণ।
মুছে যাক যত মিথ্যাচার,
কলঙ্কিত গোপন অন্ধকার,
উঠে আসুক আলোকিত ঝলমলে দিন,
ক্ষমতাটা ফিরে পাক যত ক্ষমতাহীন।
জাতি ভেদাভেদ জ্ঞান-
ধর্মে ভ্রান্ত ধ্যান,  
মানুষের মনে ভ্রান্ত দৃষ্টি গড়ে।
সেগুলি ধরণী মাকে কলুষিত করে।
পাপাত্মার কাদা-পাঁক-
হয়ে যাক পুড়ে খাঁক!
ছাই-ভস্ম ভেসে যাক অনন্ত সাগরে,
খনিজেই মিশে যাক; পলি স্তরে স্তরে।
সরল নবীন প্রাণ,  
করুক আত্মদান,  
গড়ুক বিশ্ব-মাকে নবাগত সাজে।
অক্ষুন্ন রাখুক মান সৌর-সমাজে।
নবীনের হাতে তাই তুলে দিয়ে দায় ভার।
এপারের কাজ ছেড়ে যেতে হবে ওই পার।
সমাজের পিছু টান এরিয়ে,
সবকিছু পাওয়াটাকে পেরিয়ে,
মন মাঝে হাসি-খুশি জড়িয়ে,
দাঁড় ভাঙা পাল ছেঁড়া এই নাওটাকে বেয়ে,
খুশিভরা দ্যুতিবান নবীনের জয়গান গেয়ে।