সবাই ডাকে পাগলা দাসু, আমিও চিনি সেই নামে,
যায়না চেনা ধর্ম কি তার আল্লা, খ্রীষ্ট, রাম-রামে।      
কেউ জানেনা ঠিক পরিচয় থাকেই বা সে কোন ধামে,
আজ এখানে, কাল সেখানে, একদিন আবার দূরগ্রামে।
প্রথম যাবেই ডাকঘরে সে যেখানেই থাক আস্তানা তার,
সেখান থেকেই চলার শুরু তার জীবনের সব কারবার।  
দূরের দেশের ডাক এসে যায় নিত্য-নতুন খবর নিয়ে,
চলছে যে কি অবাধ ধারায় গোপন চিঠির মধ্যে দিয়ে।
একদা এসে নাড়ছে কড়া ডাক অফিসের পিয়ন বাসু,
চিঠিটা নিয়ে ধন্য করুন চিঠির মালিক পাগলা দাসু।
এইনামে যেই ডাক দিয়েছে অমনি দাসুর মেজাজ কড়া,
দেখেই ভয়ে পিয়ন বাসুর চোখ হল আজ ছানাবড়া।
পরের দিনে আরেক চিঠি আনলো যখন তার বাড়িতে,
দেখলো, আছে দাঁড়িয়ে দাসু তেল লাগিয়ে তার দাড়িতে।
চিঠিটা নিয়েই খুলল সেটি দেখলো পড়্লো জুড়লো নাচ,    
আজ পাগলামী তার দেখেই বাসুর চক্ষু হল চড়ক গাছ।
পা্গল বেশে একা-একাই থানার পথটাই খুব মাড়ালো,  
অনেক দিনই এই ডেরাতে এমনি ভাবেই সে কাটালো।
একদিন দাসু আড়াল হল সবার চোখের সামনে থেকে,
দুষ্কৃতিদের ধরিয়ে দেওয়া মারাত্মক এক স্মৃতি রেখে।