নারী কভু রূদ্রমুর্তি হয়ে-
অসুর করেছে বিনাশ।
সরস্বতী রূপে সমাজে করেছে-
প্রকৃত জ্ঞানের প্রকাশ।  
কখনো কাহারো শোকের কারণে,
জলে ভরে গেছে নেত্র্।
কোমল হৃদয়ে অভাবীর তরে
কভু গড়েছে দান-ক্ষেত্র।
জেদাতুর বশে ভুল কাজ হেতু-
স্বামীর হলে অপমান,    
অকাতর মনে চেয়েছে সেই ক্ষণে,
নিজ দেহ আবসান।
সমাজ-সংসারের সঞ্জীবনী শক্তি -
নারীদেরই হাতে ন্যস্ত,
দেখো স্নেহ-মায়া-মোহে প্রেমের আবহে
হয়েছে সকলই পরাস্ত।
তাই তারা নয়, সমাজের বুকে-  
ব্যক্তি স্বাধীনতাহীন।  
খোলা-মেলা পথে, চলবে এক সাথে,  
কেউ নয় পরাধীন্।
ধরায় বসবাস রত জীব-  
নারী শাবিত্রী আর পুরুষ শিব।
নারী অঙ্গে মাতা;  
রূপে সৌন্দর্য-ধারিনী প্রকৃতি।
আবার পুরুষ অঙ্গে পিতা;  
জীবের ধারা-প্রবাহেরই স্বীকৃতি।  
একে-অপরের পরিপূরকসম নিশ্বাস,
গঠন হওয়া চায়, পুষ্পে-অলিতে-
মহাবলশালী ভালোবাসা ও বিশ্বাস।
একের অভাবে পরিপূর্ণ নহে কেহ,
জ্ঞানী, বোঝে তার পুরোপুরি বিস্তার,  
সূর্য্য যেমন শক্তির উৎস স্বরূপ,
পৃথিবীই তার প্রতীতি কাহিনীকার।