এই আস্তানায় থাকলে বিড়াল, ইঁদুররা পাবেনা ফায়দা,  
নেংটি ইঁদুর তাই ভাবে আজ বিড়াল তাড়ানো কায়দা।  
যে যার স্থানে আপন মনেই বসেছে মাথায় দিয়ে হাত,  
গড়াতে গড়াতে এক বৃদ্ধ ইঁদুর এসে, দিল তাদের সাথ।
সমাধান সূত্র ভাবতে ভাবতে বসল, যার নামটা কংস।
যদি বিড়ালের উপর ঝাঁপিয়েই পরি,আমরা ইঁদুর-বংশ।
সেটাই তো কম হবেনা, আমরা হাজার সৈন্য একসঙ্গে,
দর্প ভরে বলল হেসে হেসে, যেন এক বুদ্ধিমানের ঢঙ্গে।
বৃদ্ধ ইঁদুর বলল, ‘আরে বলাটা সহজ, করাটা সহজ নয়,
ভাবতে পারছিস এইটা করলে হবে, কতটা সৈনিক ক্ষয়!
মাঝের থেকে হঠাৎ উঠে বলল, এক যুবক ইঁদুর দাদা,
ভয় পেলে কি চলবে রে ভাই, সামনে যে বিপদ বাঁধা!
বুদ্ধি এঁটে নামবো এবারে, আমরা হারবো না বারবার,
ধারালো শক্ত দাঁত রয়েছে, কামড়াতে কিবা দোষ আর।
রামের যুদ্ধ-কৌশলের কাছে একদিন, হারেন লঙ্কাপতি,  
আমরাও করলে আক্রমণ, পারবেনা করতে কোন ক্ষতি।
চৌদিকে ঘিরে সতর্ক রবো, মাঝখানে রেখে জ্যান্তমাছ,
লোভেই বিড়ালটি ছটফটাবে, যখন দেখবে মাছের নাচ।
পাবেনাকো টের কোন মতেই, হেথাই আছে ফাঁদ পাতা,
যেই এসে মাছ ধরবে বিড়াল ওই ঝুলন্ত মাছের মাথা।
একসঙ্গে ছুটে এসে কামড়টি দেবো যেজন পারি যেখানে,
কামড়ের বিষে, হারাবে দিশে, জয়টা পাবোই সেখানে।
সেই মত দিন ঠিক হল একদিন, বসে আছি পাহাড়ায়,
সন্ধ্যা লাগোয়া বিকেলে, ঐ বিড়াল ধরে এসে মাছটায়।
ছুটে গিয়ে সবে মিলে একসাথে, কামড়ে ধরেছি যখন,
ছাড় ছাড় রবে মাছ ছেড়ে তবে, ইঁদুর ধরেছে তখন।  
যেইনা মা’ইঁদুরকে ধরতে দেখেছে, ভীষণ রকম রোষে,  
এক চ্যাংড়া ইঁদুর কামড়ে ধরল বিড়ালের অন্ডোকোষে।
হয়ে সে নাকাল সেই যে পালাল, আর আসেনি ফিরে,
আমাদেরই রাজ আজ চলছে এখন, এই এলাকাটা ঘিরে।