আমি, বলছি সুভাষ বোস।
দেশ মাতাকে স্বাধীন করে-
হয়নি মোটেই দোষ।    
তবু স্বাদ-হীনতায় ভুগছে কেন দেশ!
দিকে দিকে অভাবের নাই শেষ,
নিজেদেরই মুর্খতাটা নয়কি?
এমন ভাবে উন্নয়নটা হয় কি?
সভ্যযুগের পিছিয়ে পরা দেশ বলে,  
লজ্জা দেবে উচ্চ গলায় মুখ তুলে,  
এটাও যেন এক রকমের হারমানা,
খাঁচার ভেতর বন্দি থাকা প্রাণ খানা।
এমনটা তো চাইনি আমি সেই দিনে।
আজ কেন দেশ ভাসছে শুধু ঋণ-ঋণে!
দুই শো বছর ধরে-  
ফরাসী ও ব্রিটীশ দৈত্য ওরে-
খুব অত্যাচার করে,  
ভারত মায়ের সুসন্তানদের হায়!
খুন করেছে তারা বড্ড নিষ্ঠুরতায়।  
লুঠ করেছে সম্পদ যত -
বেপরোয়া ইচ্ছে মত।  
জ্বালিয়ে তাদের ছাই করেছে ছাই।
সেই জ্বালাতন সইবে কে আর বলো,
তাইতো সেদিন ডেকেছিলাম-
চলো দিল্লী চলো।
রক্ত দিলে দেবোই স্বাধীনতা।  
বলেছিলাম এটাও,
দৈত্য দানব সামনে পেলেই -
পেটাও বেদম পেটাও।  
দেখবে তারা লেজ গুটিয়ে,  
সকল নেশার লোভ চুকিয়ে,
পালাবেই একদিন ।
এমনভাবেই মায়ের কাছে মুক্ত হবো ঋণ।
আমি যখন বিদেশ যাবার পথে-  
দূর আকাশে সৈন্য-হাওয়া-রথে
হঠাৎ নাকি ছাই হয়েছি পুড়ে!
সেই যে গেলাম আর এলাম না ঘুরে!
যদি থাকতে পেতাম,
খুব যতনে মনের মতন,
মা’কেও সাজিয়ে যেতাম।