একদিন স্বপনে দেখি এক শুভ-সকাল l
পোশাক পরেছি যেন ঝকমকি ঢিলঢাল l
জুতো পায়ে সেজেছি মস্ত এক যাদুগর,
পথে পথেই ছুটছি বাধাহীন দিনভর l
অবিরাম চলছি আমি সাইকেল ছুটিয়ে,
যাদু ঝুলি খুলছি কখনো দর্শক জুটিয়ে l
মজাদার নানামত দেখাচ্ছি খেলাটাও,
মাঝে মাঝে হাঁকছি যাদুখেলা দেখে যাও l
চোখ দুটি পাকিয়ে দিয়ে জোর হুংকার,
থেকে থেকে যাদুকাঠি ঘুরাচ্ছি বারবার l
যাদু খেলা দেখে দর্শক আনন্দও পাচ্ছে,
কখনো খুশির তালে হাত তুলে নাচছে l
দেখে তাক লাগছে কারো মম নব সৃষ্টি,
কখনো বা পড়ছে ঝড়ে পয়সারই বৃষ্টি l
ছেয়েও আছে দর্শক বহুজন চারিদিক,
জাতি ভুলে সমবেত বৌদ্ধ-হিন্দু-শিখ l
হঠাৎ এক শিশু যেই কেঁদে ওঠে ভীরে,
কাছেতে গেলাম আমি ভীর ঠেলে ধীরে l
দেখেই বুঝেছি তারে খিদেটাই মহারোগ,
আচরণে ফিরালো মাতার এ্ই মনযোগ l
শান্ত করিতে তারে দিই যাদুগড়া খাদ্য,
তখনই হর্ষধ্বনিত হয় দেখে মম সাধ্য l
শত-হাততালি পেয়ে বড়ো ভাবি নিজেকে,
আহ্লাদে গলে আজ ভাবিনাকো কি-যে কে l
নাচতে উঠেছি আমি স্বপ্নের ঘোরে যেই ,
ধপাস পড়েছি জোরে খাট থেকে মেঝেতেই l
হাতের আঙ্গুলে চোট মাথাটাও ফেটেছে,
স্বপনের দিনটি আমার এভাবেই কেটেছে।