জানি না ফাগুন ছিলো কি না
কিংবা ধরা যেতে পারে মনে পড়ছে না
কি করে বা বলি বসন্ত উৎসব?
ওপার থেকে এলো ভেসে দোয়েলের স্বর!
একটু হতচকিত না হওয়ার উপায় কি ছিল আর!
অনেকটা পেরিয়ে গেছে পুরোনো অভ্যাস
তবুও দিতে হলো সাড়া অদ্ভুত আলোড়নে!
মনে হলো হারানো সুর বুঝি এইবার হলো উদ্ধার
ডাক আর ডাক,ভরে গেলো মাঠ
কি নেই তাতে?সপ্ন বিলাসী নীলাকাশ,
চন্দ্রালোকিত রাত,অগনিত তারাদের ভিড়,
শিশির ভেজা দূর্বাঘাস,কুড়ি থেকে ফুল
পলাশের রাঙা রূপ,কৃষ্ণচূড়ার চকিত প্রহর,
বসন্ত সমীরে দুলে ওঠা ধান শীষ,আরো--আরো কত কী-!
এমন লোভনীয় বৈচিত্র্য কার না লাগে ভালো?
নয়নাভিরাম শোভা মন ভরালো।
এরই মধ্যে কখন যে ঘটে গেলো হঠাৎ বিদ্যুৎ!
সব রঙ মুছে দিয়ে নিলো সে বিদায়
ঠিক বিদায় বলা জানি না ঠিক হবে কি না?
বলা যেতে পারে একরাশ কালো মেঘ ফুঁড়ে--
উঠে এলো এক মহাকাশ হলুদ আলো!
যা বহুকাল আগের সেই ছোঁয়াচে অম্ল ঢেঁকুরকে হার মানালো
বুকের প্রতিটি পাঁজর জুড়ে আটকে থাকলো চাবুক স্মৃতি
না গ্ৰহন না ত্যাগ!অবহেলার এ হেন চুড়ান্তরূপ!
মন খারাপির পোড়া আগুনে ঠিক এখানেই ঘুমিয়ে পড়া
ভাসতে ভাসতে চলে গেলাম কত্ত মাইল!কত যে দূরে?
ব্যবধান বেড়ে গেলে বুঝি এমনটাই হয়?
ঝপ করে নিজেকে ফিরে পাবো বললেও আর যায় না পাওয়া
তা সে যতোই সতস্ফুর্ত বন্ধুত্বের আহ্বান হোক না কেন--?
এখনো হেঁটে যাচ্ছে আগ্নেয়গিরির ঝলসানো তেজে পুড়ে যাওয়া দীর্ঘ ক্ষত।
--------------------------------------------
১১/৪/২০২২-অবুঝ মন-