৩৯১)
হয়তো প্রাবল্যের বাতুলতা গেছে থেমে
তবুও মরা নদী হয়নি এখনও --
যদি অন্তর বিকশিত হয়ে ওঠে
তবে ও কুসুম ঠোঁটে রক্তের দাগ আজও জেগে
তবু ভয় হয় গোলাপের কাঁটা না কী কাঁটাতার?
হৈ হৈ হুল্লোড় এ শহর মানলেও
সামনে তাকাতে এতো ভয়!
ভাবতে পারো এ দায় সবটা আমার না--
------------------------------------------
৩৯২)
অঙ্কটা মিললো না বলে
একটু ও আশা নেই!
বিশ্বাস ভরসা শব্দের জোড়াতাল
শিকড়ের মাটিটা কোথা পাই?
চিকচিক চোরা স্রোত উজ্জ্বল চৌদিক
বুঝলুম মনে নেই কারও আর অভাগার!
প্রকাশের মহিমায় শতদল ফুটলো সারাক্ষণ।
-----------------------------------------
৩৯৩)
হিসেব নিকেষ যতোই কর মেলে কি আর সময় কালে?
কী না কি যাচ্ছে ডুবে মলিনতার ময়লা জলে?
পাহাড় সমান ঢেউয়ের সারি হাঁপিয়ে ওঠার উৎস মূলে!


এর পরে ও এগিয়ে চলা যেমন খুশি থাক না বজায়
হাতে রেখে রায়ের কপি শুনতে হবে মনের কী রায়
হোক পরাজয় এই কথাটি দাও উড়িয়ে সহজ ধারায়।


দেখবে তুমি স্বচ্ছ আকাশ তোমার বাটে কী ঝলমলে--
-------------------------------------------
৩৯৪)
নড়ে যাওয়া ভিত ছুঁয়ে কতদূর যাওয়া যায়?
তাই তো এ পথেই রোদ্দুর পারাবার
একটু ও নয় ভুল কালো ঝুল বেসামাল যতদূর চোখ যায়
চিড় নেই ছোড় নেই চিকচিক মরুবালি কোথাও
ভুলে যাও যত শোক জমানো
ঘন ছায়া,জোৎস্না বিছানো মায়াময় চরাচর কুড়নোর
এ উঠোন ভরপুর উৎসব সুখময় সারাক্ষণ সেনসেক্স চড়ছে ----
----------------------------------------
৩৯৫)
একটা কিছু ভাবতে গিয়ে দেখি
এই যে আমরা বৃথাই আগুন সেকিঁ
পৌঁছে যেতে আছে কি আর মানা?
মনে পড়ে চোখ দুটো সেই টানা!
হঠাৎ  দেখি বেলার শেষে এসে
যাই হারিয়ে কী পেয়েছির দেশে?
---------------------------------------
-১৪/১/২৩-অবুঝ মন -