তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম গোলাপ বাগিচায়
ধীরে ধীরে পাপড়ি গুলো মেলেছিলো ডানা
আমি তখন নিমগ্ন দোতলার ঘরে সুখ কবিতায়
তুমি খোলা চুলে আঁচল বিছায়ে টোপ দিয়ে গেলে
হয়তো আমিও ছিলাম নিয়ন আলো মাখার প্রতীক্ষায়
মন কি তখন বেঁধে রেখে ছিলে,কিংবা বেঁধে কি রাখা যায়?


স্বপ্নের বাহারি রঙে প্রজাপতি ছোঁয়ার সে কি সাধ!
তুমি এলে পাশে কত সহজীয়া আলিঙ্গনে ধরা দিতে বেলাগাম অছেলায়
সেই শুরু আর থেমে থাকা নয়
তোমারা আগুন গোলার সে কি তেজ! সহজে কি দমানো যায়?
ঝড়ের ঝঞ্ঝা ঝাপটের মতো এসেছিল ভেসে যৌবন মাদকতা
শরীরের ক্যানভাস আর অনুভূতির তীব্র আলোড়ন মিলেমিশে একাকার
রামধনুর রঙে,হার না মানা হাপুস স্নানের প্রতিক্ষণ।


আর ঠিক তখনই তুমি দিলে চাপিয়ে সর্বনাশা জ্বালা ধরা এক নেশা
উঠতি বয়স না বুঝে শুনে কথা দেওয়ার দামাল ফাগুন আশা
ঠকা ঠক,ঠক খুলে গেলো দরজা
আমি তখন হাজারো আতশ-বাজির বেসাতি গড়া স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
এমন সময় হঠাৎই ঈর্ষান্বিত কালো মেঘ হয়ে,ধেয়ে এলো কালবৈশাখী
প্রদীপের তলে অন্ধকার নেমে এলে যেমনটি হয়, অতর্কিতে হানাদারী আক্রমণ
সাথে সাথে উড়ে গেলো স্বপ্নীল পেঁজা মেঘের ভেলা
ভোরের আলো দেখতে না দেখতেই আঁধার ঘনিয়ে এলো।


কি পরিমান দহন বুকে নিয়ে জ্বলছে দিবাকর
বলে কি বোঝানো যায়?
যদিও চাহিদার ঝলসানো পাতায় তুমি দিয়েছিলে আংশিক সাড়া
স্থায়িত্ব শব্দের ভাঙ্গা খাটের কোণায় যেটুকু মেলে আর কি!
তুমি হাওয়ার মতো মিলিয়ে গেলে আকাশের সন্ধ্যাতারায়
হয়তো এটাই ছিল আগুন নেভানোর ইমারত গড়া কৃপাণ উপায়
আর এলে না ফিরে।


আমি তখন ঝলসানো রুটি,ক্লান্ত প্রেমিক হেঁটে চলেছি মরু সাহারায়
জানি সেই সীমাও লঙ্ঘিত হয়েছে--
গান্ধারীর মত বুকে পাথর চেপে,কাপড় বাঁধা চোখের তারায়
তবুও মনের মনিকোঠায় সযত্নে সঞ্চিত আছে তোমার সেই অবহেলার খেয়ালী ভেলা
যদিও বহু বছর হয়েছে পার--
আজ এক কঠিন সন্ধিক্ষণে একটাই প্রশ্ন,এখনো কি সেই পথ রয়েছে জেগে তোমার শিরায় শিরায়?
---------------------------------------------
১০/৪/২০২০-অবুঝ মন-