১)
মোরগ ডাকা ভোর--এভাবেও আলোকিত হয়
এক্ষণে ডুরান্ড লাইন,খুব কি আছে প্রয়োজন?
ওই দেখো 'ও'চোখের আলো কতটা উজ্জ্বল
এরপরেও সূচকের ব্যবহার!যদি কিছু বাকি থাকে থাক
না কোন নষ্ট নীড়----
জেনে রেখো শুধু চাই একটু সুপ্ত আকর্ষণ।


২)
এখনো তাকিয়ে আছে কাঁচের পৃথিবীটা!
সে কী দেখতে পাচ্ছে না রক্তাক্ত হৃদযন্ত্র কতটা মোহিত?
এরপরেও সামনের রাস্তা থাকবে সচল!
যদি বাঁ দিকের ঘর বলে সামান্য কিছু থেকে থাকে
এখনো একের পর এক গল্পের প্লট বিক্রি-----?
অথচ কত অনায়াসে ছেড়ে দিয়ে গেলো,জন্মদিনের উজ্জ্বল লাবণ্যে গোটা একটা ছায়া শরীর।


৩)
খানিকটা আকরিক লৌহের নির্যাস
একটু ছড়িয়ে দিতেই
পুর পুর করে খুলে গেলো কল!
জানি নেই সংশয়,নিয়ে যাবে নিশ্চয়
গড়াগড়ি খেলো কত অনিশ্চিত ইচ্ছের ঢল?
খয়েরের কদর এভাবেই অহরহ চলেছে বেড়েই--


৪)
মিশ করাটা ভিড় জমানো,পাতায় থাক ভরা
হটাৎ করে উথলে ওঠে যায় না তবু ধরা
ভুক্তভোগী স্বাক্ষী যিনি নীরব স্রোতে ঢাকি
তবু ও না কী এখনো তার সার্জারিটা বাকি!
লঙ্কাবাটা ভুলে গিয়ে মরিচ গোলে জলে
শ্রাবণ ধারা নামবে কী আর দেখা করার ছলে?


৫)
যে নদীর প্রখরতা বেশি তাকে কি বাঁধ দিয়ে ধরে রাখা যায়?
একটু অমাবস্যার গন্ধ পেয়েছে কী ছুটে সে পালায়!
এরপর মাঝি বসে শোনে সেই গান,"হে ক্ষণিকের অতিথি---"
গেঁথে নেয় তিথি রক্তিম শুভেচ্ছা বিনিময়---
শুধু জানে না সে এ কেমন বিদায় লগন?
রাত জাগা পাখিটি কী জানে প্রেমের প্রথম তরীর চিরস্থায়ী স্থান?


৬)
মেয়েটা মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভাবছে কোন পারে যাওয়া যায়
সে কী জানে বছর তেইশ পর একটা পাগলপণ গল্পের হতে পারে ইমারত?
বলেছিলো বটে--দেখ চিনতে পারিস কি না
অথচ জানে না "কেয়া পাতার"প্রকাশনা যতোই উজ্জ্বল হোক না কেন
পাহাড়ি ঝর্ণার মতো পুরনো চিহ্ন 'র'বর্ণের সুঘ্রাণ এখনো নেয়নি বিদায়
যমুনা স্থবীর হতে পারে বৃন্দাবন ভোলে কি কখনো?
------------------------------------------
                   -অবুঝ মন -