লালায়িত বাগানের চুঁইয়ে পড়া রং মাখা ঠোঁটে
মন্থর গতিতে যখন কুসুম মিলনোত্তরে খুলেছিল জানালা
তখনই হৃদয়ের দরজায় ডেকেছিল বসন্তের কোকিল
আর মন্থন করেছিল অমৃতের মধুভাণ্ড সোহাগ দোলা।


পূর্ণতা পাবার আবেশে কেঁপে উঠেছিল শরীর উঠোন
প্রবল ঘুমের ভেতর হঠাৎ ঘুম ভাঙে জড়তার
আবেগের ভেজা পথে তখন চকচকে ভাস্বর ছবি
স্বেচ্ছাধীন তুমি- আনন্দ ধারায় বয়ে চলা গীতবিতানের গানে।


দোল খাওয়া কৃষ্ণের ,লজ্জাবতী রূপসীর সাজে
মৃত সঞ্জীবনীর ঢেউ হয়ে এলে জড়িয়ে বাহুবন্ধনে
আনচান- উচাটন কথার মালা দিলে উপহার
প্রস্ফুটিত গোলাপ হৃদয়ের আকাশ থেকে গোপন প্রণয়ে।


যদিও লঙ্ঘন করে নি তোমার ভালোবাসার যাপন
চাহিদার কাকভোরে শুধু লেগেছিল সামান্য সিঁদুর
এমন-ই সময় ধেয়ে আসে সর্পিল আল পথ বেয়ে শয়তান কিটের দল -
রক্তস্রোতা মেঘমল্লারে মন্দবাসার সাজে।


বসন্তের সুঘ্রাণ উবে গেল পলাশ ফুলে
হাজার হাজার পোকাদের মত থকথকে বমি তুলে
ঝাপসা হয়ে গেল উদ্বেল সহজিয়া সুখ
ক্ষনিকের সামান্য কাঁটাতারের গোলকধাঁধায়।


সময়ের অবগাহনে কষ্টের পাথরে জমেছে বড় বড় কাঁটার সারি
ঘন কুয়াশায় আশার নদীতে প্রবাহিত লাল রক্তিম গাড়ি
তবুও চলেছি এগিয়ে- জীবন পথে আগের-ই মত
অভিমান ভার পাহাড় সমান- আজ তুলে দিয়েছি কবিতার হাতে।
----------------------------------------
২৫/৫/১৯