ভালোবেসে নীলিমা ঘর বেঁধেছিল।
ঝুপড়ি বস্তির ধারে।।
সুখে- দুঃখে কাটছিল ছিল তার সংসার ।
এই জগৎ মাঝারে।।
একে একে জনম হল,
একটি মেয়ে ও একটি ছেলের।
এমন সময় হঠাৎ একদিন স্বামী শ্যামলাল,
সংসার ছেড়ে চলে গেল চিরদিনের তরে।


অসহায় ভাবে নীলিমা---
বেছে নিল কাগজ কুড়ানোর কাজ।
তাই বেচে এই দুঃখিনী মা---
যোগাতেন দুটি শিশুরই মুখের ভাত।
এমনি করে মেয়েটির বয়স হল বছর চার---
আর ছেলেটির বয়স হলো দুই যখন,
একদিন অজানা জ্বরে বিধাতার নিষ্ঠুর পরিহাসে--
পৃথিবী ছেড়ে নীলিমা চলে গেল তখন।


ঝুপড়ির ধারে সাত সকালে।
কত না লোকজন এসে ভিড় করে।।
তবু ও দুঃখিনী মায়ের ঘুম ভাঙবে না আর,
এত শত মানবের চিৎকারে।
ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে মায়েরই মুখপানে---
হারিয়ে গিয়েছে যে আপনজন,
বুঝতে পারেনি কেবলই--
দুটি শিশুরই অবুঝ মন।
---------------------