আমরা দাঁড়িয়ে–
পায়ের তলার মাটি কাঠফাটা রোদে
চৌচির– বিন্যাসে বিন্যস্ত;
অথচ দগ্ধ পায়ের তলা উঁচু করার
সাহস বা সময় নেই কারো!


গ্রীবা পর্যন্ত আটকে গেছে
অপরিনামদর্শিতার জতুগৃহে,
বাকিটুকু হেঁট করে
কেঁচোর মত কর্ষন করি
দুর্বিনীত স্থাবর।


বর্ষার ভেক রূপী আওয়াজে
জন্ম নেয় স্বৈরাচার,
সারমেয় সত্তায় ভক্তি ছাড়া
অমূলক যত আগাছার ননস্টপ বাড়ন্ত;
রজঃস্বলা অথচ বন্ধ্যা প্রত্যুত্তরে।


দিগ্বিদিক অঘোষিত ষড়যন্ত্র আর
মিথ্যার প্রলেপে ক্ষমতায়ন।
গদি বড় বালাই যখন
মুখোশ তখন বেশধারী;
মোসাহেব মিলে উচ্চৈঃস্বরে করে জয়ধ্বনি!


জিরাফের লম্বা গলার
মিল খুঁজে পাই
বাঁকা মেরুদন্ডে ঘাড় নেড়ে নেড়ে
করতালি দেওয়ার;
বিবর্তনে সবই সম্ভব!!


আগ্নেয়গিরির চরিত্র বেশ জানা,
তুষের আগুনও চেনা,
তবু অবোধ সেজে থাকাটা রসায়ন;
ওই যে চাতক পাখির মতো– ফটিক জলে,
গলা ভেজানোর আর্ত স্বভাবে!!