বিলুপ্তির পথে হাঁটিনি কখনো;
বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী–
সময়ের ধারায় নিভু নিভু আলো-আঁধারীর মাঝে,
লুপ্ত হয়তো বা কিছুটা নিশ্চয়তা।


আলো দাও প্রভু, আলো দাও–
এ প্রানের প্রার্থনা,
আধেক জীবন করে পার
আজও সন্ধিক্ষণে আলো-আঁধারীর
ইচ্ছেরা ঘুমানো খনিজ;


প্রাণ দাও প্রভু, আরো প্রাণ–
নিরাসক্ত জীবনের আবেগঘন প্রতিচ্ছবি,
হেঁটে যায় দিনরাত ছায়া সম
নিদারুণ ব্যর্থতার হাত ধরে;
ইচ্ছে কুঁড়ির হয়না জাগরণ
কিছু মরীচিকাসম স্বপ্ন ভরে
কি যে চায় প্রাণ–বুঝিনি তা কোন কালে!


হাজার বছরের ব্যর্থতা আর বিষণ্ণতার মহীরুহে
ফোটে না ফুল,
তবু বসন্ত কড়া নাড়ে;
দিগ্বিদিক প্রচ্ছন্ন মায়ায় সেঁটে আছে
মুক্তির পরোয়ানা,
বন্ধ কপাট খোলেনি তো আজও
রাত্রির ছেলেমেয়েরা!


এসো সূর্য, এসো সাতরঙা আলোক ধারা–
মুছে দাও
শোক তাপ আর যত ব্যর্থতা,
ভেঙে দাও ঘুমের আঁধার
ক্ষুদ্র করে উচ্ছন্ন আয়ুর বাড়াবাড়ি;


ক্ষুধার হাহাকারে বাতাসের কান ভারি,
এসো হে বৈশাখ–প্রবল ঝড়ে
ছন্নছাড়া করো অনিয়মের বাড়াবাড়ি যত!


কান খুলে শোনো নবারুণ,
মনে রেখো না সংকোচ– হীনমন্যতার সমাহার,
হাতে হাত রেখে একবার বল–
এই পৃথিবী তোমার আমার,
খুলে দ্বার অবাধ চলাচলে
অবারিত মিলনে লেখো সময়ের গায়ে
হারানো দিনের সব ইস্তেহার।।