তোমাকে ভুলে যাবার মতো
সব উপাদানই ছিল আমার কাছে,
ছেড়ে যাবার ইচ্ছে যে ছিল না
সে কথা বলি কেমন করে!
যেখানে বারবার ফিকে হওয়া সম্পর্কের রঙে
আলতো তুলির ছোঁয়া লাগানো
টিকে থাকা মেলবন্ধন,
কাগজি গোলাপের মতো অবিবেচক
অথচ হালকা পলকা রঙের শিথিল করা  সম্পর্কের
দাড়ি কমায়–গন্ধহীন;


জটিলতা মুক্ত জীবনের অজুহাতে
বেয়ে চলেছি ভাঙ্গা দাঁড়ে পাল হীন নৌকা,
একান্তই দায় আর দায়িত্বের সম্মোহনে;
বেছে নিয়েছি লোকমুখে শোনা চাঁদের বুড়ির
অনাদিকালের অভিপ্রেত!


নিম তেতো–অরুচি আর বিস্বাদের দাওয়াই
জেনে, গোগ্ৰাসে ভক্ষণ করি
গরম ভাতের মেদুর পুষ্টি–
নিদ্রাহীন রাতের মতো
আকণ্ঠ ডুবে থাকা ছলচাতুরি
অথবা জীবনভর নিঃসঙ্গতার যূপকাষ্ঠে;


নিতান্ত মধ্যবিত্ত সাধ্যের–
#চাইনা অথবা #আছে, শব্দটার সাথে
কানামাছি খেলা সময়ের অবগাহনে,
তিরতির করে বয়ে চলা নদীর মতো মান-অভিমানে।


রাত জাগা তারার সাথে
শিকার সন্ধানী ব্যর্থ প্যাঁচার
চোখ বুজে ক্ষুধা হজম করার অসহায়ত্ব নিয়ে
এগিয়ে চলি;
থেমে যেতে কিংবা একা হওয়ার
শঙ্কায়,
ভীত হই নতুনের গন্ধ নিতে;


সীমাহীন দ্যোতনায় ব্যাঙ-সাপ-ময়ূর–
এভাবেই চলা খাদ্য আর খাদকের টিকে থাকার সেক্রিফাইসে!
নিতান্ত আলবেলে ঘরানায়
বেসুরো গানের তালিম নেওয়া একটা
শুল্কহীন ক্ষুধামন্দের জীবন–
আবার ঠিক জীবনও নয়,
জীবন নামের ভুঁইফোড় আত্মার অশরিরীতে।


অবকাশ কিংবা ব্যস্ততায় গৌণ এক সংখ্যায়
হিসাবের খাতায়–ক্ষুধার্ত, বেকারত্ব, ব্যর্থতা কিম্বা পঙ্গুত্ব
নানাবিধ নাম্বারের ফাইলবন্দি জীবন–
কেবল কলমের আঁচড়ে টিকে থাকা বা না থাকা
একলব্যের ভক্তি, বাৎসল্যের উৎসর্গের মতোই!!